ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

ঢাবি’র চারুকলা অনুষদে শিক্ষক নিয়োগে দলীয়করণের অভিযোগ

আব্দুল আলীম ধ্রুব<br>বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭৫৭ ঘণ্টা, জুলাই ৩১, ২০১০
ঢাবি’র চারুকলা অনুষদে শিক্ষক নিয়োগে দলীয়করণের অভিযোগ

ঢাকা: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের তিনটি বিভাগে শিক্ষক নিয়োগে দলীয়করণের অভিযোগ এনেছেন  খোদ নিয়োগ কমিটির সদস্য ও প্রার্থীরা। যোগ্য প্রার্থীদের বাদ দিয়ে ছাত্রলীগের সাবেক দুই নেতা ও এক নেত্রীকে শিক্ষক পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়।



বৃহস্পতিবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় ওই নিয়োগ চূড়ান্ত করা হয়।
 
অংকণ ও চিত্রায়ণ বিভাগের চারটি পদের জন্য ছয়জন প্রার্থী ছিলেন। প্রার্থীরা সবাই প্রথম শ্রেণী পেয়েছেন। কিন্তু তাদের বাদ দিয়ে মাত্র একটি পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণী পাওয়া দুলাল চন্দ্র গাইনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। দুলাল চন্দ্র গাইন ১৯৯৭-৯৯ সালে চারুকলা অনুষদ ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন।

নিয়োগ কমিটির বিষয় বিশেষজ্ঞ মো. মুস্তাফিজুল হক বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডিকে বলেন, ‘দুলাল চন্দ্র গাইনকে দলীয় বিবেচনায় নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তিনি চারুকলা অনুষদ শাখার ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন। এ ব্যাপারে আমি আপত্তিপত্রও দিয়েছি। ’

অন্যদিকে, প্রিন্ট মেকিং বিভাগের দু’টি প্রভাষক পদে নিয়োগের জন্য আবেদন করেন ১৫ জন প্রার্থী। এদের মধ্যে প্রথম শ্রেণী পাওয়া একজনকে নিয়োগ দেওয়া হলেও অন্যদের বাদ দিয়ে দেওয়া হয়েছে তিনটি পরীক্ষায় দ্বিতীয় শ্রেণী পাওয়া নাজির হোসেন খানকে নিয়োগ। তিনি চারুকলা শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি।

কমিটির বিষয় বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক মাহমুদুল হক বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডিকে বলেন, ‘‘এ নিয়োগের বিষয়ে আমি এবং বিভাগের চেয়ারম্যান বিরোধিতা করেছি। নিয়োগ কমিটির প্রধান উপ-উপাচার্য হারুন-অর-রশীদ সম্পূর্ণ নিজের মতাবলে এ নিয়োগ দিয়েছেন। ‘এনিয়োগ দিতেই হবে’-- সভাপতির এমন মন্তব্যের পর আমরা সভাস্থল ত্যাগ করে চলে আসি। ’’

এদিকে গ্রাফিক্স ডিজাইন বিভাগে সব পরীায় প্রথম শ্রেণী পাওয়া দুইজন প্রার্থীকে বাদ দিয়ে মাত্র তিনটি পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণী পাওয়া সীমা ইসলামকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। সীমা ইসলাম ছাত্রলীগের রোকেয়া হল শাখার সাবেক সাধারণ সম্পাদক হওয়ায় তাকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে।

বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ও সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক তাজমেরী এস এ ইসলাম বলেন, ‘মেধাকে বিবেচনায় না এনে দলীয় ভিত্তিতে চারুকলায় নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি খুব হতাশাজনক। এ ব্যাপারে নোট অব ডিসেন্ট দেওয়া হয়েছে। ’
 
এ ব্যাপারে নিয়োগ কমিটির চেয়ারম্যান ও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য ড. হারুন-অর-রশিদের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। তিনি দেশের বাইরে গেছেন বলে জানা গেছে।

শিক্ষক নিয়োগে দলীয়করণের অভিযোগের ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, ‘বিষয়টি নিয়োগ কমিটির সদস্যরা ভালো বলতে পারবেন। নিয়োগ কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে এবং সিন্ডিকেট সভায় আলোচনার মাধ্যমে নিয়োগ চূড়ান্ত করা হয়েছে। ’

বাংলাদেশ সময়: ১৯২৫ ঘণ্টা, জুলাই ৩১, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।