ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

ষোলশহর এলাকায় চবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ চলছে

স্টাফ করেসপনডেণ্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৬৫২ ঘণ্টা, জুলাই ৩১, ২০১০

চট্টগ্রাম: চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে(চবি) বর্ধিত বেতন-ফি এবং আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা প্রত্যাহারের দাবিতে শনিবার দুপুর থেকে নগরীর ষোলশহর এলাকায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এর ফলে চট্টগ্রাম নগরীর বড় একটি অংশে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।


এছাড়া রোববার থেকে শাটল ট্রেনসহ বিশ্ববিদ্যালয়গামী সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছেন শিক্ষার্থীরা। ঘটনাস্থলে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

শিক্ষার্থীরা উপাচার্য এসে তাদের দাবির বিষয়ে ঘোষণা দেওয়া না পর্যন্ত সড়ক অবরোধ চালিয়ে যাবে বলে জানিয়েছে।


এদিকে ক্যাম্পাসে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগে ১১ জন ছাত্র-ছাত্রীর নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ২৫-৩০ জনের বিরুদ্ধে হাটহাজারী থানায় মামলা করেছেন চবি রেজিষ্ট্রার অধ্যাপক ড.মো.শাহআলম।


অভিযুক্তরা হলেন, ছাত্র ইউনিয়ন বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি তসলিম উদ্দিন, ছাত্রফ্রণ্ট সদস্য সুজন কুমার দে, ছাত্র ফেডারেশনের কর্মী শাহরিন ফেরদৌসী ও আফরিন ফেরদৌসী, সাধারণ শিক্ষার্থী প্রবাল মজুমদার, দীপংকর ঘোষ, ওরা থোরাই মারমা, শফিকুল ইসলাম, তোবারক হোসেন, আসাদুল এবং নূসরাত জাহান।

হাটহাজারী থানার অফিসার ইন চার্জ(ওসি) মহিউদ্দিন সেলিম বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডি-এর কাছে মামলা দায়েরের সত্যতা স্বীকার করেছেন।
একই দাবিতে সকালে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে মিছিল, সমাবেশের পাশাপাশি প্রায় দু’ঘণ্টা প্রশাসনিক ভবন অবরূদ্ধ করে রাখে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের চারটি ফ্যাকাল্টিতে তালা ঝুলিয়ে দেয়। এসময় শিার্থীরা প্রশাসনিক ভবনের সামনে গণসঙ্গীত, পথনাটক ও রক্ত বিসর্জন কর্মসূচি পালন করে। তবে আন্দোলনের কারণে কাশ বন্ধ থাকলেও কয়েকটি বিভাগে পরীা অনুষ্ঠিত হয়েছে বলে জানা গেছে।
এরপর দুপুরে চবি থেকে একটি শাটল ট্রেন ২টার দিকে নগরীর ষোলশহর রেলওয়ে স্টেশনে পৌঁছার পর হাজারখানেক শিক্ষার্থী স্টেশনের সামনের সড়ক অবরোধ করে। বিকেল পাঁচটায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত অবরোধকারীরা পুরো ষোলশহর এলাকায় অবস্থান করছিল।

এতে নগরীর মুরাদপুর, বহদ্দারহাট, চান্দগাঁও, শাহ আমানত সেতু এলাকা, জিইসি মোড়, ওয়াসাসহ আশপাশের কয়েক কিলোমিটার এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
ঘটনাস্থলে সাধারণ, আর্মড ও মহিলা পুলিশ মিলিয়ে আইনশৃঙ্খলা রাকারী বাহিনীর কয়েক’শ সদস্য অবস্থান নিয়েছে। নগর পুলিশের উপ-কমিশনার (উত্তর) বনজ কুমার মজুমদার বাংলানিউজটোয়েণ্টিফোর.কম.বিডিকে বলেন, ‘আপাতত আমরা পরিস্থিতি পর্যবেণ করছি। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপকে জানিয়েছি। ’

গত বৃহস্পতিবার প্রশাসনিক ও একাডেমিক কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধের কর্মসূচি ঘোষণা করে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। গত মঙ্গলবার থেকে চলছে লাগাতার কাশ বর্জন।

এর আগে গত সোমবার ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল করার সময় কয়েকজন শিককে লাঞ্চিত করার অভিযোগে চবির এক ছাত্রকে দু’বছরের জন্য বহিস্কার এবং পাঁচজনকে শোকজ করা হয়।


উল্লেখ্য, চবি কর্তৃপ ক্যাম্পাসে শান্তিপুর্ন পরিবেশ বজায় রাখার স্বার্থে ২০০৯ সালের ১৩ মার্চ থেকে সবধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড ও সভা সমাবেশ নিষিদ্ধ করে।  


বাংলাদেশ সময়: ১৮২৬ঘণ্টা, জুলাই ৩১, ২০১০


 
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।