ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

মডেল তিন্নি হত্যা মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ পিছিয়েছে

মবিনুল ইসলাম, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭০১ ঘণ্টা, মে ১১, ২০১১

ঢাকা: সাক্ষি না আসায় মডেল কন্যা সৈয়দা তানিয়া মাহবুব তিন্নি হত্যা মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ পিছিয়েছে। সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য আগামী ১০ জুলাই দিন ধার্য করা হয়েছে।


 
বুধবার ঢাকার সপ্তম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ফাতেমা নজীব এ দিন ধার্য করেন। মামলায় অভিযুক্ত একমাত্র আসামি সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক অভি এখনও পলাতক আছেন।
 
তিন্নি খুনের সাড়ে আট বছর পর গত ১০ এপ্রিল আদালতে সাক্ষ্য দেন তিন্নির বাবা সৈয়দ মাহবুবুল করিম। এদিন তিন্নির বাবা আদালতে আংশিক সাক্ষ্য দেন।

গত বছরের ১৪ জুলাই অভির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়।
 
২০০২ সালের ১০ নভেম্বর নির্মমভাবে খুন হন মডেল ও অভিনেত্রী সৈয়দা তানিয়া মাহবুব তিন্নি। তার লাশ পাওয়া যায় ঢাকার পোস্তগোলায় বুড়িগঙ্গা নদীর ওপর নির্মিত বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতুর নিচে। ১১ নভেম্বর কেরানীগঞ্জ থানার এসআই মো. শফিউল বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামির বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
 
ঘটনার পরপরই তিন্নির স্বামী শাফাকাত হোসেন পিয়াল ও তার বাসার কাজের মেয়ে বীণাকে গ্রেপ্তার করা হয়। মামলার তদন্ত শুরু করেন কেরানীগঞ্জ থানার এসআই মো. কাইয়ুম। মামলাটি চাঞ্চল্যকর বিবেচনায় ঘটনার ১৪ দিন পর তদন্তভার ন্যাস্ত হয় সিআইডির হাতে।

২০০৮ সালের ৮ নভেম্বর গোলাম ফারুক অভিকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করে সিআইডি। মামলার অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত না হওয়ায় অব্যাহতি দেওয়া হয় তিন্নির স্বামী পিয়ালসহ ৫ জনকে।
 
মামলার চার্জশিট থেকে জানা যায়, মডেল ও অভিনয়ের সূত্র ধরেই তিন্নির সঙ্গে পরিচয় হয় অভির। এরপর তিনি তিন্নিকে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে তোলেন। চাপ দিয়ে ডিভোর্স দিতে বাধ্য করেন স্বামী পিয়ালকে।
 
অভির কাছে সামাজিক মর্যাদা চেয়েছিলেন তিন্নি। বিয়ে না করলে তার কুকীর্তি মিডিয়ার ফাঁস করে দেওয়ারও ভয় দেখিয়েছিলেন। এ পরিস্থিতিতে তিন্নিকে খুন করে প্রথমে ভারতে পালিয়ে যান অভি। এরপর ভারত থেকে কানাডা। ২০০৪ সালে কানাডায় রাজনৈতিক আশ্রয় নেন তিনি।

বাংলাদেশ সময় : ১৬৫৮ ঘণ্টা, মে ১১, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।