ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

মিগ ২৯ দুর্নীতি মামলা: আরও পাঁচ সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪১৪ ঘণ্টা, মে ১০, ২০১১

ঢাকা: মিগ-২৯ বিমান ক্রয় সংক্রান্ত দুর্নীতি মামলায় আরও পাঁচ সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন আদালত।
এ নিয়ে মোট ৩২ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করা হলো।

সাক্ষীরা হলেন, সাবেক বিমান বাহিনীর প্রধান এয়ার ভাইস মার্শাল ফখরুল আযম, আইন মন্ত্রণালয়ের সাবেক অতিরিক্ত সচিব আবুল বাশার ভুইঞা, বিমান বাহিনীর সাবেক সহকারী প্রধান এয়ার ভাইস মার্শাল আবু এশরার, সাবেক ওয়ারেন্ট অফিসার মো. আলাউদ্দিন ও তৎকালীন দুর্নীতি দমন ব্যুরোর পরিদর্শক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কাজী শামসুদ্দিন ইসলাম।

মঙ্গলবার তারা ঢাকার বিভাগীয় বিশেষ জজ আব্দুল মজিদের আদালতে হাজির হয়ে সাক্ষ্য দেন। সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে বিচারক আগামী ১৮ মে পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য দিন ধার্য করেছেন।

ওইদিন কোন সাক্ষী না আসলে আসামিদের ফৌজদারী কার্যবিধির ৩৪২ ধারার বিধান মোতাবেক পরীক্ষা ও য্ুিক্ততর্ক গ্রহণ করা হবে বলে বাংলানিউজকে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট আদালতের বিশেষ সরকারী কৌশলী শাহীন আহমেন খান।

তিনি আরও জানান, ওইদিন সব আসামিকে আদালতে হাজির হতে হবে।
এরআগে গত ৩ মে একদিনে রেকর্ড সংখ্যক ২৬ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়।
মামলা দায়েরের সাড়ে নয় বছর পর গত ১৮ এপ্রিল শেষ হয় বাদী বিলুপ্ত দুর্নীতি দমন ব্যুরোর সাবেক পরিদর্শক আব্দুল্লাহ আল জাহিদের সাক্ষ্য গ্রহণ।

২০০১ সালের ১১ ডিসেম্বর তিনি ঢাকার তেজগাঁও থানায় এ মামলা দায়ের করেছিলেন।
আসামিদের মধ্যে সাবেক যুগ্ম সচিব মোহাম্মদ হোসেন সেরনিয়াবাত আদালতে হাজির ছিলেন।
ইউনিক গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নুর আলী আদালতে সময়ের প্রার্থনা করেন।

সাবেক জেনারেল মুস্তাফিজুর রহমান মারা গেছেন। অন্যরা আইনজীবীর মাধ্যমে হাজিরা দেন। তারা হলেন, বিমান বাহিনীর সাবেক প্রধান এয়ার ভাইস মার্শাল (অব) জামাল উদ্দিন আহমেদ, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব সৈয়দ ইউসুফ হোসেন, এয়ার কমোডর (অব:) মির্জা আখতার মারুফ।  

গত ৬ এপ্রিল শেখ হাসিনাকে মামলার আসামির তালিকা থেকে হাইকোর্টের নির্দেশে বাদ দেয়া হয়েছে।
১৯৯৯ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি রাশিয়ার কাছ থেকে ৮টি মিগ ও ২৯টি যুদ্ধ বিমান ক্রয় করে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার।
দেশের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় বাস্তবভিত্তিক প্রয়োজনীয়তা না থাকা সত্ত্বেও ৮টি মিগ ও ২৯টি যুদ্ধ বিমান ক্রয় করে সরকারের ৭শ’ কোটি টাকার ক্ষতির অভিযোগ এনে ২০০১ সালের ১১ ডিসেম্বর দুর্নীতি দমন ব্যুরো শেখ হাসিনাসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে তেজগাঁও থানায় মামলা করে।

২০০৩ সালের ২৯ জানুয়ারি ৭ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয় ব্যুরো।
মামলার দায় হতে অব্যাহতি দেওয়া হয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সাবেক উপ সচিব  হাসান মাহমুদ দেলোয়ার ও যুগ্ম সচিব ব্রিগেডিয়ার (অব:) ইফতেখারুল বাশারকে। ২০০৮ সালের ২০ আগষ্ট আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করা হয়। রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন, বিশেষ সরকারি  কৌশলী শাহিন আহমেদ খান।

আসামিপক্ষে সাক্ষীদের জেরা করেন অ্যাডভোকেট মো: নুরুল ইসলাম।

বাংলাদেশ সময় ১৪১২ ঘন্টা ১০ মে ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।