ঢাকা, শুক্রবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনাল অ্যাক্টের দু’টি ধারাকে চ্যালেঞ্জ করে রিট

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৩৮ ঘণ্টা, মে ৯, ২০১১
যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনাল অ্যাক্টের দু’টি ধারাকে চ্যালেঞ্জ করে রিট

ঢাকা: একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারে ব্যবহৃত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল (সংশোধিত) অ্যাক্ট-২০০৯ এর দুটি ধারাকে চ্যালেঞ্জ করে রিট আবেদন করা হয়েছে।

এ আবেদনে ট্রাইব্যুনালের আওতায় ব্যক্তি ও গোষ্ঠীর বিচার এবং হাইকোর্টের বিচারপতিকে ট্রাইব্যুনালের বিচারপতি হিসাবে নিয়োগের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে।



সোমবার সকালে সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট রেজাউল করিমের পক্ষে তার আইনজীবী ব্যারিস্টার ফখরুল ইসলাম আদালতের সংশ্লিষ্ট শাখায় এই রিট আবেদনটি জমা দেন।

এতে স্বরাষ্ট্র ও আইন সচিবকে বিবাদী করা হয়েছে।  

আগামী রোববার এই রিট আবেদনের শুনানি হতে পারে বলে জানিয়েছেন ব্যারিস্টার ফখরুল।

রিটে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল (সংশোধন) অ্যাক্ট ২০০৯’- এর ৩(১) ধারায় বলা হয়েছে , ব্যক্তি ও ব্যক্তিগোষ্ঠীকে ট্রাইব্যুনালের আওতায় আনা যাবে। এটা সংবিধানের ৪৭(৩) অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।

উল্লেখ্য, সংবিধানের উক্ত অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সশস্ত্র বাহিনী, প্রতিরক্ষা বাহিনী  ও সহযোগী বাহিনীর সদস্যদের বিচারের আওতায় আনা যাবে। কিন্তু ট্রাইব্যুনালের অ্যাক্টের সংশোধন করে  ব্যক্তি ও গোষ্ঠীকে বিচারের আওতায় আনার ব্যবস্থা করা হয়েছে।       

এতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, ‘আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল (সংশোধন) অ্যাক্ট ২০০৯’- এর মাধ্যমে আনীত ৬(২) ধারা বলে হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতিকে ট্রাইব্যুনালের বিচারপতি নিয়োগ দেওয়া হয়। এটা সংবিধানের ৯৪(৩) অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।  

উল্লেখ্য, সংবিধানের  ৯৪(৩) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, হাইকোর্টের বিচারপতিরা কেবল মাত্র হাইকোর্টের বিচারে নিয়োজিত থাকবেন।

উপরে উল্লেখিত দুটি ধারা সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক বিধায় তা স্থগিত করা এবং বাতিলের জন্য রিট আবেদন করা হয়েছে বলে জানান ব্যারিস্টার ফকরুল।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৫ঘণ্টা, মে ০৯, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।