ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

মিটফোর্ড হাসপাতাল থেকে চুরি যাওয়া নবজাতক গাইবান্ধা থেকে উদ্ধার

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪০১ ঘণ্টা, মে ৯, ২০১১

ঢাকা : রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতাল (স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল) থেকে চুরি যাওয়ার  একমাসেরও বেশি সময় পরে এক নবজাতককে উদ্ধার করেছে পুলিশ।

কোতোয়ালি থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রফিকুল হকের নেতৃত্বে একদল পুলিশ রোববার রাতে গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ি থানার পলাশবাড়ি ইউনিয়নের একটি বাড়ি উদ্ধার করে।


তবে এর সঙ্গে জড়িত কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।

রফিকুল হক জানান, একদিন ভোরে গাইবান্ধার ওই ইউনিয়নের একটি কচুক্ষেতে শিশুর কান্না শুনে স্থানীয় লোকজন  উদ্ধার করে।
পরে একই এলাকার পান দোকানদার সাজু শিশুটিকে নিয়ে লালন-পালন শুরু করেন।
একই সঙ্গে তিনি পলাশবাড়ি থানায় এ ব্যাপারে একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।

এরপর বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় এ সংক্রান্ত সংবাদ প্রকাশিত হয়।
এ খবরের ভিত্তিতে রাজধানীর কোতোয়ালি থানা পুলিশ সেখানে গিয়ে নবজাতকটিকে উদ্ধার করে তার মা-বাবার কাছে ফিরিয়ে দেয়।

এসআই রফিকুল হক আরো জানান, হাসপাতালে নবজাতক চোরের বেশ কয়েকটি চক্র রয়েছে।

রাজধানীর গেন্ডারিয়া থানার ধুপখোলার মো: সুমন মিয়া ও সালমা বেগম দম্পতির নবজাতক গত ৪ এপ্রিল মিটফোর্ড হাসপাতালের গাইনি ওয়ার্ড থেকে চুরি যায়।

আপন সন্তানকে পেয়ে আবেগ আপ্লুত মো. সুমন মিয়া বাংলানিউজকে বলেন, ‘আল্লা আমাগো দিকে চাইচে।
এর লাইগ্গা পোলাটারে পাইলাম’।

তিনি জানান, ৪ এপ্রিল দুপুরে প্রসব বেদনা ওঠার পর পরই তার স্ত্রী সালমা বেগমকে নিয়ে মিটফোর্ড হাসপাতালের গাইনি ওয়ার্ডে ভর্তি করেন।
ওই রাতেই অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে পুত্র সন্তানের জন্ম দেন সালমা।
এরপর নবজাতক ও তার মাকে গাইনি বিভাগের দুই নম্বর ইউনিটে রাখা হয়।

৬ এপ্রিল দুপুর দেড়টার দিকে বোরকা পরিহিত একজন নারী নিজেকে নার্স পরিচয় দিয়ে দুই নম্বর ইউনিটে    ঢোকে।

ওই নারী সালমা বেগমকে জানান, হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে কাপড়-চোপর গুছিয়ে তার সঙ্গে নিচে নামতে হবে।

নিচতলার একটি কক্ষে নবজাতককে টিকা দেওয়া হবে বলেই বোরকা পরিহিত মহিলা শিশুটিকে নিজের কোলে তুলে নেন।
নিচতলায় নেমে সালমাকে একটি চেয়ারে বসিয়ে সুমন মিয়াকে টিকিট কাটার জন্য হাসপাতালের কাউন্টারে পাঠানো হয়।
এর ফাঁকেই ওই নারী নবজাতককে নিয়ে লাপাত্তা হয়ে যান।

সুমন মিয়া এর ব্যাপারে হাসপাতালের পরিচালক ও কোতোয়ালি থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।  

বাংলাদেশ সময় : ১৩৫৬ ঘন্টা, মে ০৯, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।