চট্টগ্রাম: ভারতের সঙ্গে সরাসরি রেল যোগাযোগ স্থাপনের লক্ষ্যে চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার নাজিরহাট রেলওয়ে স্টেশন থেকে পানুয়া বর্ডার পর্যন্ত নতুন রেললাইন স্থাপনের জন্য সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজ শুরু করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ রেলওয়ে।
এজন্য পরামর্শক নিয়োগে ইচ্ছাপত্র ‘এক্সপ্রেশন অব ইন্টারেস্ট’ চেয়ে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে রেলওয়ে।
বাংলাদেশ রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী এস এম লিয়াকত আলী (ট্র্যাক, পূর্ব) বাংলানিউজকে জানান, অভ্যন্তরীণ ও আঞ্চলিক যোগাযোগ বৃদ্ধির পাশাপাশি অর্থনৈতিকভাবে এ রেল লাইন নির্মাণ লাভজনক হবে কি-না, তা বিস্তারিতভাবে যাচাই করতে পরামর্শক নিয়োগ করা হচ্ছে।
এজন্য আগ্রহীদের কাছ থেকে আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। আগামী ২৩ মে দরপত্র জমাদানের শেষ তারিখ বলে জানান তিনি।
তিনি আরও জানান, এ প্রকল্পের আওতায় নাজিরহাট থেকে পানুয়া পর্যন্ত ৪০ কিলোমিটার মিটারগেজ রেললাইন নির্মাণ করা হবে। প্রস্তাবিত রেললাইনের নকশা তৈরির পাশাপাশি সম্ভাব্য ও উপযোগী বিকল্প রুট উপস্থাপন করবে পরামর্শক প্রতিষ্ঠান।
লিয়াকত আলী জানান, তবে এরই মধ্যে রেলওয়ের প্রাথমিক সমীক্ষায় ভারতের সঙ্গে চট্টগ্রাম বন্দরের ট্রানজিট স্থাপনের প্রেক্ষাপটে প্রস্তাবিত রেললাইনটি উপযোগী হবে বলে রিপোর্ট করা হয়েছে।
এতে চট্টগ্রামের ষোলশহর রেলস্টেশন থেকে নাজিরহাট পর্যন্ত বিদ্যমান রেললাইনের সঙ্গে ফটিকছড়ির পানুয়া হয়ে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের সীমান্তবর্তী সাবরুমের সঙ্গে রেল যোগাযোগ স্থাপিত হবে।
এতে ফটিকছড়ি উপজেলার সঙ্গে চট্টগ্রামের সরাসরি রেল যোগাযোগ স্থাপিত হওয়ার পাশাপাশি খাগড়াছড়ি জেলার সঙ্গেও যোগাযোগ সহজ হবে বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, ‘রেললাইন হলে এ অঞ্চলে সহজে পণ্য পরিবহন করা যাবে। ’
রেলওয়ের প্রাথমিক পরিদর্শন প্রতিবেদন অনুযায়ী প্রস্তাবিত এ রেললাইনের রুট হচ্ছে, নাজিরহাট থেকে সোয়াবিল, হারুয়ালছড়ি, ভূজপুর, নারায়ণহাট, দাঁতমারা, হেয়াঁকো ও বালুটিলা বাজার হয়ে পানুয়া বর্ডার।
এ রেললাইন নির্মাণে জমি অধিগ্রহন, লাইন বসানোর কাজ, ব্রিজের কাজ ও সিগন্যালিং কাজসহ যাবতীয় কাজের জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৯৮ কোটি ২৭ লাখ টাকা।
রেলওয়ের কর্মকতারা জানান, চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির বাংলাদেশ সীমানার নিকটবর্তী ভারতীয় অংশে আগরতলা থেকে সাবরুম পর্য়ন্ত রেললাইন নির্মাণ কাজ এরই মধ্যে শুরু হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৫ ঘণ্টা, মে ০৮, ২০১১