ঢাকা, শনিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনে কাজী নুরুজ্জামানের মরদেহ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নেওয়া হচ্ছে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯২৮ ঘণ্টা, মে ৭, ২০১১
সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনে কাজী নুরুজ্জামানের মরদেহ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নেওয়া হচ্ছে

ঢাকা: মুক্তিযুদ্ধের সাত নম্বর সেক্টরের কমান্ডার লে. কর্নেল (অব.) কাজী নুরুজ্জামান বীর উত্তমের মরদেহ সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য শনিবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে রাখা হবে।

জোহর নামাজ শেষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে তার প্রথম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।

এরপর ঢাকা সেনানিবাস মসজিদে দ্বিতীয় জানাজা শেষে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় এ বীর মুক্তিযোদ্ধাকে সমাহিত করা হবে।

সেক্টর কমান্ডার লে. কর্নেল (অব.) কাজী নুরুজ্জামান শুক্রবার সকাল সোয়া ১০টায় রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে বার্ধক্যজনিত কারণে ইন্তেকাল করেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৬ বছর।

তিনি স্ত্রী, দুই মেয়ে ও অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
 
শুক্রবার স্বাধীনতাযুদ্ধের এই বীর সেনানীর মৃত্যুর খবরে হাসপাতালে তার বন্ধু সুহৃদ শুভার্থী ও বিশিষ্ট ব্যক্তিরা ভীড় জমান।   হাসপাতালের পরিবেশ ছিল শোকবিধূর। শুধু লড়াইয়ের ময়দানেই নয়, ব্যক্তিগত ও সামাজিক জীবনেও অসাধারণ গুণাবলীর অধিকারী এক অনুকরণীয় ব্যক্তিত্ব ছিলেন তিনি।

তার মৃত্যুতে শোকবিহ্বল তার কাছের মানুষদের কণ্ঠে তাকে হারানোর শোকের পাশাপাশি উঠে এসেছে তার অকুতোভয় বীরত্ব আর বিরল নেতৃত্বগুণের প্রশংসা। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে বিভিন্ন আন্দোলনে কাজী নুরুজ্জামান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন।

তার স্ত্রী সুলতানা সারওয়াত আরা জামান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের প্রাক্তন শিক্ষক। দুই মেয়ে অধ্যাপক নায়লা জামান খান ঢাকা শিশু হাসপাতালে কর্মরত ও লুবনা মারিয়ম সাংস্কৃতিক অঙ্গনে রয়েছেন। জামাতা শহীদুল্লাহ খান বাদল ইংরেজি দৈনিক দ্য নিউ এজ এর প্রকাশক।   কাজী নুরুজ্জামানের নাতি জায়েদ আলমের খান দ্য নিউ এজ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও এক নাতনী আনু শেহ বংলাদেশের একজন প্রতিভাবান তরুণ সঙ্গীতশিল্পী।    

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বিরোধী দলের নেতা খালেদা জিয়া লে. কর্নেল (অব.) কাজী নুরুজ্জামান বীরউত্তম এর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।

১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে সেপ্টেম্বর মাসে কাজী নূরুজ্জামান ৭ নম্বর সেক্টরে কমান্ডারের দায়িত্ব পান। তার সেক্টর রাজশাহী, পাবনা ও বগুড়ার রণাঙ্গনে বীরত্বের সঙ্গে যুদ্ধ পরিচালনার জন্য তাকে বীরউত্তম খেতাবে ভূষিত করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ০৯১৮ ঘণ্টা, মে ০৭, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।