ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

উড়ালপথ: অধিগ্রহণ হওয়া জমির মসজিদ-মাদ্রাসা পুনর্নির্মাণে জমি দেবে সরকার

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪৮ ঘণ্টা, মে ৪, ২০১১
উড়ালপথ: অধিগ্রহণ হওয়া জমির মসজিদ-মাদ্রাসা পুনর্নির্মাণে জমি দেবে সরকার

ঢাকা: রাজধানীর যানজট কমাতে উড়ালপথ (এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে) প্রকল্পের ভূমি অধিগ্রহণ করা এলাকার মধ্যে মসজিদ ও মাদ্রাসাসহ ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান পড়লে তা অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হবে। আর এ কাজে সরকারই এসব মসজিদ বা মাদ্রাসার জন্য জমি অধিগ্রহণ করে দেবে।



বুধবার সচিবালয়ে ভূমি মন্ত্রণালয়ে কেন্দ্রীয় ভূমি বরাদ্দ কমিটির ৮৮তম সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

সভা শেষে ভূমি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আবু বকর সিদ্দিক বাংলানিউজকে এ কথা জানান।

ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পের জন্য প্রথম পর্যায়ে প্রায় ১৬ দশমিক ০০৫৭ একর জমি অধিগ্রহণ করবে ভূমি মন্ত্রণালয়।    

অতিরিক্ত সচিব আবু বকর সিদ্দিক বলেন, ‘অধিগ্রহণের জন্য প্রস্তাবিত এলাকায় মসজিদ ও মাদ্রাসা রয়েছে। ’

‘এসব মাদ্রাসা বা মসজিদকে সরিয়ে অন্যত্র নেওয়া হবে বা পাশে কোনও জমি থাকলে সেখানে তৈরি করার জন্য জমি দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে’, বলেন তিনি।  

এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের জন্য প্রথম পর্যায়ে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে যাত্রাবাড়ির চিটাগাং রোড পর্যন্ত অতি দ্রুত অধিগ্রহণের কাজ শেষ করতেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানান অতিরিক্ত সচিব।  

যোগাযোগ মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, এই প্রকল্প নির্মাণের জন্য কাজ শুরুর দিন থেকে সাড়ে তিন বছরের মধ্যে নির্মাণ শেষ করার চুক্তি হয়েছে। গত ৩০ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী এ প্রকল্পের নির্মাণকাজের উদ্বোধন করেছেন।

সূত্র জানায়, নির্ধারিত সময়ে জমি অধিগ্রহণ করতে না পারলে নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ইতাল-থাইকে প্রতিদিনের জন্য সরকারকে বড় অংকের জরিমানা দিতে হবে।

উড়ালপথ (এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে) প্রকল্পের জন্য ২০ শতাংশ জমি সরকারকে অধিগ্রহণ করতে হবে। মন্ত্রিসভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, এই প্রকল্পের জন্য যাদের জমি অধিগ্রহণ করা হবে, তারা নগদ অর্থের পাশাপাশি ক্ষতিপূরণ হিসেবে সরকারি প্লট ও ফ্ল্যাট পাবেন।

অতিরিক্ত সচিব সিদ্দিক জানান, ভূমি মন্ত্রণালয়ে বুধবারের সভায় ৮টি প্রকল্পের জন্য ভূমি অধিগ্রহণের সিদ্ধান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

অধিগ্রহণের অনুমোদন পাওয়া প্রকল্পগুলো হলো, গুলশান-বনানী বারিধারা লেক উন্নয়ন প্রকল্পের আওতাধীন গুলশান-বারিধারা লেকের জন্য ১০ দশমিক ৭৫২৪ একর জমি, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক গাজীপুর প্রকল্পের জন্য সদর উপজেলার পিরুজালী মৌজার ১১৯ দশমিক ৮৮ একর জমি, রাজশাহী আঞ্চলিক সার্ভার স্টেশন ভবন নির্মাণের জন্য বোয়ালিয়া থানার চ-িপুর মৌজার ০ দশমিক ৩০৩৮ একর, খুলনা সদর থানার বানিয়া খামার মৌজায় আধুনিক মার্কেট নির্মাণ প্রকল্পের জন্য ১ দশমিক ৭০ একর জমি, সরকারী শিশুপরিবার (বালিকা) রায়নগর সিলেট অনাথ শিশুদের লালন-পালনের উদ্দেশ্য সিলেট সদর থানায় মিউনিসিপ্যালিটি মৌজায় ০ দশমিক ৭৭৫ একর জমি, বরিশাল সিটি কর্পোরেশন এর সারফেস ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট স্থাপন প্রকল্পে সদর থানাধীন রুপাতলী মৌজায় ৬ দশমিক ৮৭ একর জমি এবং  সিলেট সিটি কর্পোরেশন এলাকায় পশু জবাইখানা নির্মাণ প্রকল্পে ০ দশমিক ৪০ একর জমি অধিগ্রহণ করতে হবে।

ভূমি মন্ত্রী রেজাউল করিম হীরার সভাপতিত্বে সভায় ভূমি প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান ও ভূমি সচিবসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৪০ ঘণ্টা, মে ০৪, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।