ঢাকা: মার্কিন রাষ্ট্রদূত জেমস এফ মরিয়ার্টি বলেছেন, স্বাধীনতার পর বাংলাদেশের চমৎকার অগ্রগতি হয়েছে। তবে কাজ এখনও শেষ হয়নি।
সোমবার মিরপুর শহীদ সোহরাওয়ার্দী ইনডোর স্টেডিয়ামে ‘জাগো ফাউন্ডেশন’ আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তৃতায় তরুণদের উদ্দেশ্যে তিনি একথা বলেন।
এসময় মরিয়ার্টি তরুণদের উদ্দেশ্য করে বলেন, বাকি কাজগুলো করার দায়িত্ব আপনাদের। ভবিষ্যত প্রজন্ম হিসেবে বাংলাদেশের সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে সেগুলো সমাধানে আপনাদের এক জোট হয়ে কাজ করতে হবে। যাতে বাংলাদেশের সম্ভাবনাগুলো পুরোপুরি কাজে লাগানো যায়।
‘জাগো ফাউন্ডেশন’ তার নতুন প্রকল্প দেশের জন্য স্বেচ্ছাসেবক ও ইয়ুথ অব দ্য নেশন ২০১০ পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এতে সহায়তা করেছে মোবাইল ফোন সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানে এয়ারটেল।
সংস্থাটির প্রতিষ্ঠাতা করভী রাকশান্দেও সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সাংসদ আসাদুজ্জামান নূর, এয়ারটেলে বিপণন বিভাগের প্রধান নওম্যান ফাকহার, ঢাকাস্থ ব্রিটিশ কাউন্সিলের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ম্যাথিউ নোলস।
মরিয়ার্টি শুরুতেই তরুণদের উদ্দেশ্যে বাংলায় কথা বলেন। তাদের উদ্দেশ্যে করে তিনি বলেন, ‘আমি বাংলাকে ভালোবাসি। আপনারাই বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ। আমি বাংলা ভালো বলতে পারি না। তাই এখন ইংরেজিতে কথা বলব। ’
তরুণদেও উৎসাহ দিয়ে বলেন, ‘আপনারা দেশে যে পরিবর্তনগুলো দেখতে চান সেগুলো অন্য কেউ বাস্তবায়ন করবে তার জন্য বসে থাকবেন না। নিজেই পদক্ষেপ নিন। এধারা অব্যাহত রাখুন। স্বাধীনতার পর দেশটি অনেক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে। ’
এসময় এই কূটনীতিক তার নিজের পরিবারের কথা তুলে ধরে বলেন, আমার দুটি সন্তান আছে। তাদের কাজের মাধ্যমে আমি গর্ববোধ করি। বিশেষ করে আমার মেয়ের জন্য। যখন দেখি সে সুবিধা বঞ্চিতদের শিক্ষা দিতে যায়। ’
আসাদুজ্জামান নূর বলেন, ‘দেশের হাল ধরতে হবে তরুণদের। তাই তাদের রাজনীতিতে এগিয়ে আসতে হবে। মেধাবী ও দেশপ্রেমিক ছেলেরা রাজনীতিতে না এলে সংসদ ব্যবসায়ী ও শক্তিধরদের জায়গায় পরিণত হবে। তারা দেশের জন্য ভালো কিছু করতে পারবে না। মানুষের ভাগ্য উন্নয়ন হবে না। ’
এয়ারটেলের বিপণন বিভাগের প্রধান নওম্যান ফাকহার বলেন, ‘এয়ারটেল তরুণদেও গুরুত্ব দেয়। তরুণদেও ভালোবাসার টানে তাদের জন্য বিশেষ সেবা নিয়ে আসে। ভবিষ্যতেও বিষয়টি কে গুরুত্ব দিয়ে নতুন সেবা নিয়ে আসা হবে। ’
এসময় তরুণদের এয়ারটেলের সঙ্গে থাকার আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, স্বেচ্ছাসেবক ও করপোরেট ক্যাাটাগরিতে সানিডেল স্কুল, ইউনাইটেড আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয় নয়টি প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কার দেওয়া হয়। আর চিকিৎসাসেবায় অবদানের জন্য সিআরপির প্রতিষ্ঠাতা ভেলেরি টেইলরকে আজীবন সম্মানা পদক তুলে দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ সময়: , ২ মে, ২০১১।