ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

উপজেলা চেয়ারম্যানের শ্বশুরকে টিউবয়েল বরাদ্দ না দেওয়ায়...

জেলা প্রতিনিধি | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২১২ ঘণ্টা, মে ২, ২০১১

বরিশাল: উপজেলা চেয়ারম্যানের শ্বশুরকে টিউবয়েল বরাদ্দ না দেওয়ায় ওই চেয়ারম্যানের হাতে মার খেয়েছেন বরিশালের হিজলা উপজেলা জণস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের অফিস সহকারী হারুন-অর রশিদ।

সোমবার সকাল ১১টায় নিজ কার্যালয়ে ডেকে নিয়ে হারুন-অর রশিদকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল ও মারধর করেছেন হিজলা উপজেলা চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা সুলতান মাহমুদ টিপু।



চেয়ারম্যানের দ্বিতীয় স্ত্রী শেফালী সিকদারের বাবা (শ্বশুর) শিবুপদ ঘোষকে সরকারি টিউবয়েল না দেওয়ার প্রতিশোধ নিয়েছেন উপজেলা চেয়ারম্যান।

সংশি¬ষ্ট দপ্তর থেকে পাওয়া তথ্যমতে, ২০১০ সালে হিজলা উপজেলার বিভিন্ন স্থানে টিউবয়েল দেওয়ার জন্য বিভিন্ন পর্যায়ের জনপ্রতিনিধিরা ৩৩টি সুপারিশ পাঠান জণস্বাস্থ্য ও প্রকৌশল অধিদপ্তরে।

এর মধ্যে স্থানীয় এমপির ১২টি সুপারিশের বিপরীতে ৪টি, উপজেলা চেয়ারম্যানের ৫টি সুপারিশের বিপরীতে ৩টি, মহিলা ভাইসচেয়ারম্যানের ৩টি সুপারিশের বিপরীতে ১টি, পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যানের ৪টি সুপারিশের বিপরীতে ২টি, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার ২টি সুপারিশের বিপরীতে ১টি, জণস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের ৩টি সুপারিশের বিপরীতে ১টি এবং বড়জালিয়া ইউপি চেয়ারম্যানের ৪টি সুপারিশের বিপরীতে ২টি টিউবয়েল বরাদ্দ হয়।

এর মধ্যে খুন্ন গোবিন্দপুর এলাকায় একটি টিউবয়েলের জন্য আবেদন করেন উপজেলা চেয়ারম্যানের শ্বশুড় শিবুপদ ঘোষ।

কিন্তু তার প্রতিবেশী ও মহিলা ভাইসচেয়ারম্যানের বাবা ইসমাইল ঘরামীর বাড়িতে ১টি এবং পাশ্ববর্তী বড়জালিয়া ইউপি চেয়ারম্যানের বাড়িতে ১টি টিউবয়েল রয়েছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপ-সহকারী প্রকৌশলী সরজমিন তদন্ত করে পাশাপাশি দুটি টিউবয়েল থাকায় শিবুপদ ঘোষের আবেদনটি বাতিল করেন।

সোমবার সকালে এ বিষয়ে জানতে ওই অফিসের অফিস সহকারীকে নিজ কার্যালয়ে ডেকে পাঠান উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সুলতান মাহমুদ টিপু। কার্যালয়ে যাওয়ামাত্র তাকে গালাগাল করেন তিনি।

একপর্যায়ে উপজেলা চেয়ারম্যান তাকে মারধর করেন বলে নিশ্চিত করেছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।

ঘটনার সত্যতা স্বীকার করলেও পরিস্থিতি অনুকূলে না থাকায় এ মুহূর্তে আইনানুগ কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছেন না বলে জানান লাঞ্ছিত হারুন-অর রশিদ।

এ ব্যাপারে উপজেলা চেয়ারম্যান সুলতান মাহমুদ টিপু জানান, ব্যক্তিগত একটি বিষয় নিয়ে কথা বলার জন্য হারুন-অর রশিদকে নিজ কার্যালয়ে ডেকে নিয়েছিলেন তিনি।

তবে তাকে মারধরের কথা অস্বীকার করেন চেয়ারম্যান টিপু।

বাংলাদেশ সময়: ২১৫১ ঘণ্টা, মে ০২, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।