ঢাকা: পুলিশের মহাপরিদর্শক হাসান মাহমুদ খন্দকার বলেছেন, ‘পুলিশ হেফাজতে কারো মৃত্যু বা নির্যাতন কাম্য হতে পারেনা। শনিবারের ঘটনাটি তদন্তে যদি কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয় তাহলে তার ব্যাপারে বিভাগীয় ও আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
রোববার বিকেলে রাজধানীর স্যুটিং ফেডারেশন মিলনায়তনে বাংলাদেশ পুলিশ বার্ষিক স্যুটিং প্রতিযোগিতা ২০১০ এর উদ্বেধন ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
কারা হেফাজতে অসুস্থ হয়ে শনিবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এক আসামির মৃত্যু হয়। পুলিশের নির্যাতনে তার মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে নিহতের পরিবার।
মহাপরিদর্শক বলেন, ‘র্যাবের গুলিতে আহত লিমনের মায়ের দায়ের করা মামলাটি আদালত থেকে নির্দেশনা পাওয়ার পর তা গ্রহণ করা বা না করার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। ’
তিনি বলেন, ‘লিমনের ঘটনাটি বিভিন্ন পর্যায়ে তদন্ত চলছে। এটি এখন আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সম্পন্ন হবে। ’
ঘটনাটি সুষ্ঠু ও নিরেপেক্ষ তদন্ত করা হবে বলেও জানান তিনি।
২৩ মার্চ ঝালকাঠিতে র্যাবের গুলিতে পুঙ্গ হওয়া এইচএসসি পরীক্ষার্থী লিমনের মা বাদী হয়ে ১০ এপ্রিল রাজাপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করলেও এখন পর্যন্ত পুলিশ তা গ্রহণ করেনি।
এদিকে মুফতি আমিনীর ছেলেকে অপহরণ ও পরবর্তীতে উদ্ধার সম্পর্কিত এক প্রশ্নের জবাবে আইজিপি বলেন, ‘এ ব্যাপারে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) দায়ের করা হয়েছে। তাই বিষয়টি তদন্তের পর এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। ’
এর আগে আইজিপি বাংলাদেশ পুলিশ বার্ষিক স্যুটিং প্রতিযোগিতা ২০১০ এর উদ্বোধন করেন ও পরে বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৪, ২০১১