মুন্সীগঞ্জ: পুকুরের ইজারা ডাকা নিয়ে রোববার মুন্সীগঞ্জে জেলা প্রশাসন ও পুকুরের প্রকৃত মালিকপক্ষের লোকজনের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে।
খোদ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে রোববার বেলা ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
মুন্সীগঞ্জ শহরের জমিদারপাড়া এলাকার বিরোধপূর্ণ বড় একটি পুকুরের ইজারা দেওয়ার এ ঘটনায় জেলা প্রশাসক ও পুকুরের প্রকৃত মালিক মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল ১০টার দিকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে অনেকটা চুপিসারে ডাকা নিলামে বিরোধপূর্ণ ওই পুকুরটি জেলা প্রশাসক আজিজুল আলম ২ লাখ ৭০ হাজার টাকায় ইজারা দেন।
এর আগে, ওই পুকুরের মালিকানা দাবি করে শহর জামে মসজিদ কর্তৃপক্ষ জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে ইজারা প্রদান করতে রোববার দ্বিতীয় দফায় প্রকাশ্যে ইজারা আহবান করে।
উল্লেখ্য, মাস খানেক আগে জেলা প্রশাসক ৪ লাখ ২৬ হাজার টাকায় জনৈক সাইফুল ইসলাম সোহাগকে পুকুরটি ইজারা দেন।
পরে ইজারাদার পুকুরের মালিকানার কাগজপত্র চাইলে জেলা প্রশাসক আজিজুল আলম তা দিতে ব্যর্থ হন। এতে ওই ইজারাদার ইজারার টাকা জেলা প্রশাসকের কাছে জমা দিতে নারাজ হলে কর্তৃপক্ষ দ্বিতীয় দফায় আজ (রোববার) ইজারা আহ্বান করেন।
এরই ধরাবাহিকতায় রোববার দ্বিতীয় দফায় নিলাম ডাকের সময়ে পুকুরের প্রকৃত মালিকানা দাবিদার পক্ষ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে গেলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।
এসময় শহরের জামে মসজিদ কমিটি ও মাকসুদুর রহমান রনি পক্ষের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়, হট্টগোল ও বাকবিত-া হয়। এর এক পর্যায়ে হাতাহাতিও হয়। এ ঘটনায় জেলা প্রশাসক মসজিদ কমিটির পক্ষ নেন।
এ প্রসঙ্গে, জেলা প্রশাসক আজিজুল আলম বলেন, ‘যারা মালিকানা দাবি করেছেন তারা পুকুরে নিজেদের সাইনবোর্ড টাঙ্গিয়েছেন। এটা ঠিক না। আর পুকুরটি ইজারা দেওয়া হচ্ছে অনেক আগে থেকে। কাজেই ধারাবাহিকভাবে পুকুর ইজারা দেওয়া হবেই। ’
পক্ষান্তরে পুকুরের প্রকৃত মালিকানার অংশীদার দাবিকারী মাকসুদুর রহমান রনি বলেন, ‘পুকুরটি নিয়ে মামলায় শহর জামে মসজিদ কমিটি হেরেছেন। কাজেই পুকুরটির প্রকৃত মালিকানার দাবিদার আমরাই। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৪, ২০১১