ঢাকা, বুধবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

১০০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি

ইব্রাহিম খালেদসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা

মবিনুল ইসলাম, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৪৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৪, ২০১১
ইব্রাহিম খালেদসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা

ঢাকা: শেয়ারবাজার তদন্ত কমিটির রিপোর্ট আংশিক বাতিল চেয়ে কমিটির চেয়ারম্যান খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে ইব্রাহিম খালেদসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে ১০০ কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ দাবি করে একটি লিগ্যাল নোটিশও দেওয়া হয়েছে।



রোববার ঢাকার দ্বিতীয় সহকারী জজ আদালতে বাংলাদেশ থাই অ্যালুমিনিয়াম লিমিটেডের পক্ষে আইন কর্মকর্তা আব্দুছ সেলিম মিয়া বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।

বিচারক আফতাবুজ্জামান বাদীর মামলা গ্রহণ করে আগামী ১২ জুনের মধ্যে লিখিত জবাব দাখিলের জন্য বিবাদীদের প্রতি সমন জারি করেছেন।

বিবাদীরা হলেন, শেয়ারবাজার তদন্ত কমিটির চেয়ারম্যান খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ, চাটার্ড অ্যাকাউন্টস অব বাংলাদেশের সভাপতি মোহাম্মদ আব্দুল বারী, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্টের পরিচালক তৌফিক আহম্মেদ চৌধুরী, সিকিউরিটি অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের নিহাত কবির, সিকিউরিটি অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ ব্যাংকের মহাব্যবস্থাপক, সিটি ব্যাংক এন এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা।

মামলার আরজিতে উল্লেখ করা হয়, ইব্রাহিম খালেদ শেয়ারবাজারের অনিয়ম তদন্তে গঠিত কমিটির চেয়ারম্যান হিসাবে অর্থমন্ত্রীর কাছে গত ৭ এপ্রিল তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয় “আমরা  বাংলাদেশ থাই অ্যালুমিনিয়াম এর ১৫ কোটি টাকা পাচার বা স্থানান্তরের প্রমাণ পেয়েছি। ”

বাদী দাবী করেন এ অভিযোগ মিথ্যা ও মানহানিকর।

বাদী দাবি করেন, ‘বিডি থাই এ পেইড আপ ক্যাপিটাল বাড়ানোর জন্য শেয়ার হোল্ডারদের সর্বসম্মতিক্রমে জেম গ্লোবাল ইন ফান্ড ও জেম ইনভেস্টমেন্ট অ্যাডভাইজার আইএনসিস সঙ্গে ২০০৮ সালের ২১ অক্টোবর চুক্তিবদ্ধ হয়। ২০০৯ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি সিকিউরিটি অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন উক্ত বিনিয়োগ অনুমোদন করেন।
উক্ত অনুমোদন সাপেক্ষে ২০০৯ সালের ১৬ এপ্রিল  থেকে ১৮ জুনের মধ্যে কোম্পানি দুটি বিডি থাই-এর অ্যাকাউন্টে তের কোটি ১২ লাখ ২১ হাজার ৯৫০ টাকা বিনিয়োগ করেন।

বাদী আরও দাবি করেন  ‘বিডি থাই গ্লোব্যাল জেম এর অনুকুলে কোনও বন্ড ইস্যু করেনি। ’ শেয়ারবাজার তদন্ত কমিটি বিডি থাই কর্তৃপক্ষের বক্তব্য না শুনেই একতরফাভাবে এ রিপোর্ট দাখিল করেছে এবং গণমাধ্যমে বক্তব্য প্রদান করেছে। এতে বিডি থাই অ্যালুমিনিয়ামের ব্যবসায়িক সুনাম ক্ষুন্ন হয়েছে।
 
বাদীপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট খালেদ আহমেদ ও অ্যাডভোকেট মিজানুর রহমান।

১০০ কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ চেয়ে লিগ্যাল নোটিশ

এদিকে প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও মানহানিকর বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগ এনে ক্ষতিপূরণ বাবদ ১০০ কোটি টাকা চেয়ে শেয়ার বাজারের কারসাজির ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটিকে লিগ্যাল নোটিশ দিয়েছে বাংলাদেশ থাই অ্যালুমনিয়াম লিমিটেড।

খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদের নেতৃত্বে গঠিত ঐ কমিটিকে ১৫ দিনের মধ্যে ক্ষতিপূরণের টাকা পরিশোধসহ প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে ‘অসত্য’ ও ‘বানোয়াট’ রিপোর্ট প্রকাশ করার জন্য লিখিতভাবে ক্ষমা চাওয়ার জন্য বলা হয়েছে।

অন্যথায় দেওয়ানি ও ফৌজদারি আইনের বিধানমতে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে।

রোববার প্রতিষ্ঠানটির পক্ষে অ্যাডভোকেট একিউএম সোহেল রানা এই লিগ্যাল নোটিশ পাঠান।

যাদের বিরুদ্ধে নোটিশ দেওয়া হয়েছে তারা হলেন- তদন্ত কমিটির প্রধান খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ অপর তিন সদস্য- চাটার্ড অ্যাকাউন্টস অব বাংলাদেশের সাবেক সভাপতি মো. আব্দুল বারী বাংলাদেশ ইনিস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্টের পরিচালক  তৌফিক আহমেদ চৌধুরী এবং সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের আইনজীবী নিহাত কবীর।

নোটিশে বলা হয়- খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদের দেওয়া একটি সাক্ষাৎকার যেটি ৭ ও  ৮ এপ্রিল একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল এবং বেশকিছু পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত হয়- সেখানে তিনি বলেন, ‘অপর একটি প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতায় বাংলাদেশ থাই অ্যালুমিনিয়াম এর ১৫ কোটি টাকা পাচার বা স্থানান্তরের প্রমান পেয়েছি। ’ তার এ বক্তব্য অশোভনীয়, অশালীন, মিথ্যাচার ও মানহানিকর বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে।

এতে বলা হয়, শেয়ার কেলেঙ্কারির তদন্তে অর্থ পাচারের মত জঘন্য ঘটনার সাথে বাংলাদেশ থাই অ্যালুমিনিয়ামের নাম জড়ানোর বিষয়টি উদ্দেশ্য প্রনোদিত এবং ষড়যন্ত্রমূলক। এ কারণে নোটিশকারী প্রতিষ্ঠান ব্যবসায়িক, সামাজিক ও আর্থিকভাবে ভিষণ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এই ক্ষতির মূল্যমান ১০০ কোটি টাকা।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৩০ঘণ্টা, এপ্রিল ২৪, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad