চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পাঁচ শিক্ষার্থীর ওপর এক ডায়গনিস্টক সেন্টারের কর্মচারীদের হামলার জের ধরে হাসপাতালের সামনে রাস্তা অবরোধ করে রেখেছে শিক্ষার্থীরা। পাশাপাশি ক্লাস বর্জন ও বিক্ষোভ মিছিলও করে তারা।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত অচলাবস্থা নিরসনে ছাত্রদের সঙ্গে আলোচনায় বসেছেন চমেক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ, পুলিশ প্রশাসন, বিএমএ ও স্বাচিপ নেতারা।
বৈঠকে আওয়ামী লীগ নেতা আজম নাছিরও উপস্থিত আছেন।
পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নবজ্যোতি খীসা বাংলানিউজকে এ কথা জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, গত শনিবার রাতে চট্টগ্রামের পাঁচলাইশে প্রবর্তক এলাকার স্যাভরন ডায়াগনস্টিক সেন্টারের কর্মচারীদের হামলায় কলেজের পাঁচ শিক্ষার্থী আহত হন।
মেডিকেল কলেজ সূত্র জানায়, রোববার সকাল ৮টার পর ক্লাস বর্জন করে কলেজের লং আইল্যান্ডে অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় শিক্ষার্থীদের খণ্ড খণ্ড মিছিল-স্লোগানে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পুরো এলাকা।
বিক্ষুব্ধ ছাত্ররা মিছিল নিয়ে স্যাভরনের দিকে যেতে চাইলে পুলিশ তাদের আটকে দেয়। তবে স্যাভরনে যেতে না পারলেও শিক্ষার্থীরা প্রবর্তক মোড় থেকে হাসপাতালের পূর্ব গেইট পর্যন্ত রাস্তা অবরোধ করে রেখেছে।
চমেক ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এবং চমেক ছাত্র সংসদের সমাজসেবা সম্পাদক সোহেল পারভেজ সুমন বাংলানিউজকে জানান, সকাল থেকে কোনও ক্লাস হয়নি।
তিনি বলেন, ‘আমাদের দাবি হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির পাশাপাশি স্যাভরন কর্তৃপক্ষকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে এবং প্রাইভেট প্র্যাকটিসরত শিক্ষকদের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দুব্যর্বহার বন্ধ করতে হবে। ’
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, গত রাতে স্যাভরন কর্মচারীরা যখন ছাত্রদের ওপর হামলা চালায়, তখন চমেক’র কয়েকজন শিক্ষক সেখানে উপস্থিত থাকলেও তারা এগিয়ে আসেননি।
উল্লেখ্য, সাইফুল আমিন নামে এক শিক্ষার্থী তার এক আত্মীয়ের টেস্ট রিপোর্ট সংগ্রহ করতে গেলে লাইনে দাঁড়ানো এবং দেরিতে রিপোর্ট দেওয়া নিয়ে স্যাভরন কর্মচারীদের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়।
এক পর্যায়ে এক কর্মচারীকে শিক্ষার্থীরা মারধোর করলে এর জের ধরে পরে কর্মচারীরা সম্মিলিতভাবে তাদের মারধর করে। এ ঘটনায় হামলাকারী তিন কর্মচারীকে আটক করলে পরিস্থিতি তখনকার মতো শান্ত হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৪, ২০১১