আখাউড়া (ব্রাহ্মণবাড়িয়া): ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তিতাস নদী পাড় হওয়ার সময় বজ্রপাতে ছয় কৃষি শ্রমিকের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে।
বুধবার সন্ধ্যায় সদর উপজেলার কাজলা বিল থেকে ধান কেটে নৌকাযোগে তিতাস নদী পাড় হওয়ার সময় তারা বজ্রপাতের শিকার হন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে নদীতে জাল ফেলে নিখোঁজ চারজনের লাশ উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন ৩জন।
বজ্রপাতে নিহতরা হলেন সদর উপজেলার চিনাইর উত্তর পাড়ার আফু মিয়া (২৫), হাকিম মিয়া (৩২) আমির হোসেন (৪০) ময়মনসিংহের তারাকন্দা উপজেলার বনপলাশিয়া গ্রামের জামাল মিয়া (৩৫) হালুয়াঘাটের দুবাউড়া গ্রামের আবুল কালাম (২৫) ও ইয়াকুব মিয়ার (৩২)।
তাদের সবাইকে নিজ নিজ গ্রামে বৃহস্পতিবার বাদ জোহর দাফন করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, কাজলা বিলের আশপাশের কয়েক কিলোমিটার এলাকায় ঘরবাড়ি নেই। বুধবার বিকেলে আকাশে ঘন ঘন বিদ্যুৎ চমকাতে থাকলে বিলে ধান কাটতে থাকা লোকজন নিরাপদ আশ্রয়ে আসতে থাকে। তারা শতানিয়া গুদারা ঘাট দিয়ে তিতাস নদী পার হওয়ার সময় বজ্রপাতের ওই ঘটনা ঘটে।
ঘটনার পর লোকজন গিয়ে নৌকায় আবুল কালাম ও ইয়াকুব মিয়াকে আহত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। দুজনকে উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাদের মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় নিখোঁজ হন আরও চার ব্যক্তি।
বৃহস্পতিবার দুপুরে নদীতে জাল ফেলে নিখোঁজ আফু মিয়া (২৫), হাকিম মিয়া (৩২) আমির হোসেন (৪০) ও ইয়াকুবের (৩২) লাশ উদ্ধার করা হয়।
বজ্রপাতের ঘটনায় আহত নৌকার মাঝি নিকাইল মিয়া (৩৬) বলেন, ‘আমি নৌকাটি চালাচ্ছিলাম। এমন সময় হঠাৎ আগুনের হলকা এসে আমার বাম পায়ে পড়ে। আমি পানিতে পড়ে য্ইা। এর পর আর কিছু বলতে পারি না। ’
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গাজী শাখাওয়াত হোসেন রাত সাড়ে ৯টায় বাংলানিউজকে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।
বাংলাদেশ সময়: ২২২৮, এপ্রিল ২১, ২০১১