ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

পিংক সিটির অনিয়ম সংক্রান্ত প্রতিবেদন সংসদীয় কমিটিতে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১২২ ঘণ্টা, এপ্রিল ২১, ২০১১

ঢাকা: আবাসন প্রকল্প করতে পিংক সিটি জেনোভ্যালির ব্যাপক অনিয়মের প্রতিবেদন গণপূর্ত ও গৃহায়ন সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির কাছে জমা দিয়েছেন রাজউকের উপপরিচালক (নগর পরিকল্পনা) মো. আশরাফ আলী আখন্দ।

রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) এক প্রতিবেদনে পিংক সিটির এ অনিয়মের এ তথ্য পাওয়া গেছে।



বেশ কিছুদিন ধরে জেনোভ্যালি মডেল টাউন (প্রাঃ) লিমিটেডের পিংক সিটি আবাসিক প্রকল্পে নানা অনিয়মের খবর সংবাদ মাধ্যম প্রকাশিত হলে রাজউক বিষয়টি খতিয়ে দেখে। এতে পিংক সিটির বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের সত্যতা খুঁজে পাওয়া যায়।

বৃহস্পতিবার তদন্ত প্রতিবেদনটি সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে উপস্থাপন করা হয়।

বৈঠক শেষে কমিটির সদস্য নূরে আলম চৌধুরী লিটন বলেন, ‘পিংক সিটির বিরুদ্ধে একটি তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়া গেছে। তাতে অনেক অনিয়মের চিত্র ফুটে উঠেছে। ’

তিনি জানান, বর্তমানে আবাসন বিধিমালা প্রণয়নের কাজ চলছে। এ কাজ শেষ হলে এ শিল্পের সকল ধরনের অনিয়মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ সহজ হবে। এ জন্য দ্রুত বিধিমালাটি প্রণয়নের কাজ শেষ করার জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

রাজউকের উপপরিচালক (নগর পরিকল্পনা) মো. আশরাফ আলী আখন্দ স্বাক্ষরিত প্রতিবেদনে দেখা গেছে, খিলক্ষেত থানার ডুমনি মৌজায় গড়ে ওঠা পিংক সিটি আবাসিক প্রকল্পে জমির পরিমাণ ৩৩ দশমিক ৩৩ একর। এই জায়গাটি বন্যা প্লাবিত এলাকা হিসেবে এখনো অন্তর্ভুক্ত আছে।  

প্রকল্পটির অনুমোদন পাওয়ার জন্য ২০০৬ সালের ৮ মার্চ রাজউকে আবেদন করেছিল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু অনিয়ম থাকায় রাজউক অনুমতি দেয়নি। কারণ এ ধরনের প্রকল্পের জন্য জমির দলিল পিংক সিটি কর্তৃপক্ষ দাখিল করতে পারেনি। এমনকি সেবা সংস্থাগুলোর কাছ থেকে তারা কোনো অনুমতিপত্রও নিতে পারেনি।

প্রকল্প অনুমোদনের জন্য পরিবেশ অধিদপ্তর, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড, ডেসা, ডেসকো, ঢাকা ওয়াসা, ঢাকা যানবাহন সমন্বয় বোর্ড, টিএন্ডটি ও তিতাস গ্যাসের ছাড়পত্রের প্রয়োজন হলেও জমির দলিল না থাকায় তারা সেটা দাখিল করতে পারেনি।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, পিংক সিটি কর্তৃপক্ষ কোনো প্রকার অনুমোদন ছাড়াই প্রকল্পের বিজ্ঞাপন প্রচার করে চলেছে। এই বিজ্ঞাপনের ফাঁদে পড়ে সাধারণ গ্রাহকরা প্রতারিত হচ্ছেন। প্রকল্প অনুমোদন হওয়ার আগে এ ধরনের বিজ্ঞপ্তি প্রচারের কারণে পিংক সিটি বেসরকারি আবাসিক প্রকল্পের ভূমি উন্নয়ন বিধিমালা-২০০৪ এর উপবিধি ১৬(৩) ধারা লঙ্ঘন করেছে।

এছাড়া এই প্রকল্প প্রাকৃতিক জলাধার সংরক্ষণ আইন ২০০০-এর পরিপন্থী। এ কারণে রাজউক বাড্ডা থানায় ২০০৭ সালের ২৫ জানুয়ারি মামলা দায়ের করেছিল। পরবর্তীতে পিংক সিটি আবার আবেদন করলে আইন শাখার মতামত অনুসারে প্রকল্পের কার্যক্রম স্থগিত করে রাজউক। আর মামলা চলমান থাকায় এ প্রকল্পের কোনো অনুমোদন এখন পর্যন্ত দেওয়া হয়নি।

বাংলাদেশ সময়: ২১২১ ঘণ্টা, এপ্রিল ২১, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad