গাইবান্ধা: জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে রয়েছেন ভাষা আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারীদের মধ্যে একমাত্র জীবিত ভাষা-সৈনিক কার্জন আলী।
কার্জন আলীকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় গত রোববার দুপুরে গাইবান্ধা আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
চিকিৎসকদের মতে, তিনি এখন জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে।
অসুস্থ কার্জন আলী গাইবান্ধা সদর উপজেলার খোলাহাটী ইউনিয়নের উত্তর খোলাহাটী গ্রামে নিজ বাড়িতে চিকিৎসাধীন ছিলেন। রোববার সকালে তার শারীরিক অবস্থার গুরুতর অবণতি ঘটলে তাকে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
বুধবার গাইবান্ধা আধুনিক হাসপাতালে তাকে দেখতে গিয়েছিলেন গাইবান্ধা-২ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য মাহবুব আরা বেগম গিনি। এসময় তিনি কর্তব্যরত চিকিৎসকদের তাঁর চিকিৎসার খোঁজখবর নেন।
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির জেলা সাধারণ সম্পাদক মিহির ঘোষ বাংলানিউজকে জানান, উত্তর খোলাহাটী গ্রামে ১৯৩৪ সালে কার্জন আলীর জন্ম। ছাত্র জীবনে গাইবান্ধা লোকাল হাইস্কুলে পড়াশুনার সময় ভাষা আন্দোলনে নিজেকে সম্পৃক্ত করেন। গাইবান্ধায় ভাষা আন্দোলন শুরু হয় ১৯৪৮ সালে। ঢাকার রাষ্ট্র ভাষা সংগ্রাম পরিষদের অনুকরণে গাইবান্ধা শহরেও ‘সর্বদলীয় রাষ্ট্র ভাষা সংগ্রাম পরিষদ’ গঠন করা হয়। এর সভাপতি ছিলেন মরহুম মতিউর রহমান ও সম্পাদক ছিলেন মরহুম হাসান ইমাম টুলু। এ কমিটির অন্যতম সদস্য ছিলেন কার্জন আলী।
হাসপাতালে তার রোগ শয্যার পাশে বসে স্ত্রী মাহমুদা বেগম বাষ্পরুদ্ধ কণ্ঠে জানান, আর্থিক অনটনে দেশ ও জাতির কল্যাণে আত্মনিবেদনকারী এই ত্যাগী ভাষা সৈনিকের সুচিকিৎসা করা সম্ভব হচ্ছে না।
জেলা বাসদের আহবায়ক আহসানুল হাবীব সাঈদ বলেন, কার্জন আলীকে বাঁচাতে হলে জরুরি ভিত্তিতে উন্নত চিকিৎসা প্রয়োজন। তিনি সরকারের কাছে কার্জন আলীর চিকিৎসা সহায়তা দাবি করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ২০, ২০১১