ঢাকা, শনিবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

ইন্টারনেট গ্রাহকদের ভ্যাট আওতামুক্ত রাখার সুপারিশ সংসদীয় কমিটির

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০১ ঘণ্টা, এপ্রিল ২০, ২০১১

ঢাকা: আসন্ন বাজেটে ইন্টারনেট গ্রাহকদের মূল্য সংযোজন করের (ভ্যাট) আওতামুক্ত রাখার সুপারিশ করেছে ডাক ও টেলি যোগাযোগ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি।

একই সঙ্গে মোবাইল ফোনের হ্যান্ডসেটে বর্তমান সাড়ে ১২ শতাংশ ভ্যাট কমিয়ে ২০০ (ফ্লাট চার্জ) টাকা নির্ধারণেরও সুপারিশ করা হয়েছে।



বুধবার সংসদ ভবনের কমিটির ২৭তম বৈঠকে এ সুপারিশ করা হয়।

বৈঠক শেষে সংসদ ভবনের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান কমিটির সভাপতি হাসানুল হক ইনু।

বৈঠকে মোবাইলের সিম কার্ডের ওপর বর্তমানে থাকা আট’শ টাকা ট্যাক্স বাতিল করার সুপারিশ করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে ইনু বলেন, ‘বর্তমানে ইন্টারনেট গ্রাহকরা ১৫ শতাংশ ভ্যাট দিয়ে থাকে। গ্রাহকদের এই ভ্যাটের আওতামুক্ত রাখা হলে ইন্টারনেট ব্যবহার বাড়বে। মোবাইল ফোনের ব্যবহার বাড়লে সরকারের রাজস্ব আয়ও বাড়বে। একারণেই আগামী বাজেটে সিম কার্ড ও হ্যান্ডসেটের ওপর ভ্যাট কমানোর সুপারিশ করেছে কমিটি। ’

তিনি আরও বলেন, সিম কার্ড আমদানির ওপর যে ভ্যাট আছে, সেখানে দুর্নীতির অভিযোগ আছে। একারণে এই ভ্যাট কমিয়ে ৬০ থেকে ৭০ টাকা ফ্লাট চার্জ নির্ধারণ করা উচিত।

বার্ষিক ১২ হাজার কি.মি. প্রয়োজনের বিপরীতে খুলনার সরকারি অপটিক্যাল ফাইবার কোম্পানি আট হাজার কি.মি. ফাইবার উৎপাদন করতে পারে জানিয়ে ইনু বলেন, এই শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে হলে বিদেশ থেকে আমদানি করা  অপটিক্যাল ফাইবারের ওপর শুল্ক বাড়ানো উচিত।

বর্তমানে অপটিক্যাল ফাইবারের ওপর শুল্ক আছে তিন শতাংশ। কমিটি এটাকে বাড়িয়ে ২৫ শতাংশ করার সুপারিশ করেছে।

ইনু আরও বলেন, আগামী বাজেটে টেলিকম খাতে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতিসহ অন্যান্য খাতে শুল্ক কমানোর সুপারিশ সংসদীয় কমিটি অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠাবে।

বৈঠকে ইন্টারনেট ভিত্তিক যন্ত্রপাতির ওপর ট্যাক্স চার শতাংশ ধার্য করার সুপারিশ করা
হয়। বর্তমানে যা ৮ থেকে ৩১ শতাংশ পর্যন্ত আছে।

তিনি জানান, আগামী জুলাই মাসে বাংলাদেশ টেলিফোন শিল্প সংস্থা (টেশিস) ল্যাপটপ বাজারজাত করবে। টেশিস প্রতিমাসে ১০ হাজার ল্যাপটপ উৎপাদন করতে সক্ষম হবে।

ইনু জানান, টেশিস তিন মডেলের ল্যাপটপ বাজারজাত করবে। এগুলোর দাম হবে যথাক্রমে ১২, ১৮ ও ২৭ হাজার টাকা।

বৈঠকে জানানো হয়, ইন্টারনেট সার্ভিস ইকুইপমেন্ট ও টেলিকম সেক্টরের সকল প্রকার যন্ত্রপাতিসহ নেটওয়ার্ক সিস্টেমে কর ও শূল্ক কমানো হলে সাময়িকভাবে রাজস্ব আয় কমবে। তবে  ইন্টারনেট, মোবাইল ও পিএসটিএন গ্রাহক সংখ্যা এবং ব্যবহার বাড়াতে রাজস্ব আয় বাড়বে।

কমিটির সভাপতি হাসানুল হক ইনুর সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য হুইপ আ.স.ম. ফিরোজ, মোঃ আব্দুল কুদ্দুস, খালিদ মাহ্মুদ চৌধুরী, মোয়াজ্জেম হোসেন রতন এবং গোলাম মোস্তফা বৈঠকে অংশ নেন।

এছাড়া বৈঠকে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সচিব সুনীল কান্তি বোসসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তরা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৫ঘন্টা, এপ্রিল ২০, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয় এর সর্বশেষ