বাউফল(পটুয়াখালী): ইউপি নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেওয়ায় পটুয়াখালীর কেশবপুর ইউনিয়নে সরওয়ার আলম নামে এক যুবকের হাত কেটে নেওয়ার ঘটনায় দায়ের করা মামলার প্রধান আসামি একই ইউপির চেয়ারম্যান তসলিম তালুকদারকে জেল হাজতে পাঠিয়েছেন আদালত।
বুধবার আদালতে হাজিরা দিয়ে জামিন চাইতে গেলে তাকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন পটুয়াখালী খ অঞ্চলের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শামিম আহমেদ।
অপরদিকে, ঘটনার শিকার সরোয়ার আলম এখন রাজধানীর পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত ২৬ মার্চ চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মহিউদ্দিন আহমেদ লাভলুর সমর্থনে একটি মিছিলে অংশ নিলে প্রতিপক্ষ ইউপি চেয়ারম্যান তসলিম ও তার লোকজন মিছিলে হামলা চালায়। এ সময় তারা ধারালো অস্ত্র দিয়ে সরওয়ার আলমসহ কয়েকজনকে এলোপাতাড়ি কোপায়।
ধারালো অস্ত্রের কোপে সরওয়ারের বাম হাতের কনুইয়ের ওপরের অংশের সিংহভাগ আলাদা হয়ে ঝুলতে থাকে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে ২৯ মার্চ ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসকরা পরে তার হাতের ঝুলে থাকা অংশটি কেটে বাদ দেন।
এ ব্যাপারে মহিউদ্দিন লাভুর ভাই সামসুদ্দিন বাদী হয়ে তসলিম তালুকদারকে প্রধান আসামি করে ৫৩ জনের বিরুদ্ধে বাউফল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
তসলিম তালুকদার অন্য আসামিদের নিয়ে বুধবার পটুয়াখালীর খ অঞ্চলের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শামিম আহমেদের আদালতে হাজির হয়ে জামিন প্রার্থনা করেন। দু’পক্ষের যুক্তিতর্ক শেষে তসলিম তালুকদারকে জেল হাজতে পাঠানো হয় এবং অন্যদের জামিন মঞ্জুর করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০১ ঘণ্টা, এপ্রিল ২০, ২০১১