ঢাকা, বুধবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

রাডার ক্রয় মামলা

বাদীকে এরশাদের জেরা শেষ

মবিনুল ইসলাম, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৪১ ঘণ্টা, এপ্রিল ২০, ২০১১

ঢাকা: সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের রাডার ক্রয় সংক্রান্ত দুর্নীতি মামলার বাদী ও তদন্ত কর্মকর্তা হায়দার আলীর পঞ্চম দফায় সাক্ষ্য নেওয়া শেষ হয়েছে।

এ সময় এরশাদ ও সাবেক বিমান বাহিনীর প্রধান সুলতান মাহমুদ আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

বিমান বাহিনীর সাবেক সহকারী প্রধান মমতাজ উদ্দিন আহমেদ সময়ের আবেদন করেন। অপর আসামি একেএম মুসা পলাতক আছেন।

বুধবার এরশাদের পক্ষে মামলার বাদী ও তদন্ত কর্মকর্তাকে জেরা করেন এরশাদের আইনজীবী শেখ সিরাজুল ইসলাম। এদিন তার জেরা শেষ হওয়ায় অন্য আসামিদের জেরার জন্য আগামী ১৯ মে দিন ধার্য করা হয়েছে।

ঢাকার বিভাগীয় বিশেষ জজ আব্দুল মজিদের আদালতে বাদীর সাক্ষ্য নেওয়া হয়।  

সংশ্লিষ্ট আদালতের পেশকার রফিকুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, গত বছরের ১৯ মে বাদী প্রথম সাক্ষ্য দেন।   এরপর গত ২ নভেম্বর, ২০ জানুয়ারি  ও ৭ এপ্রিল বাদী আদালতে এসে সাক্ষ্য দেন।

মামলায় অভিযোগ করা হয়, তৎকালীন বিমান বাহিনী প্রধান সদর উদ্দিন আহমেদ বিমান তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কাছে বাহিনীর জন্য যুগোপযোগী রাডার কেনার আবেদন করেন। জিয়াউর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক সভায় ফ্রান্সের থমসন সিএসএফ কোম্পানি নির্মিত অত্যাধুনিক একটি হাই পাওয়ার রাডার ও দুইটি লো লেভেল রাডার কেনার প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়।  

সাবেক রাষ্ট্রপতি এরশাদসহ অপর আসামিরা পরস্পর যোগসাজসে আর্থিক সুবিধা প্রাপ্ত হয়ে ফ্রান্সের থমসন সিএসএফ কোম্পানির অত্যাধুনিক রাডার না কিনে বেশি দামে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েস্টিং কোম্পানির রাডার কিনে সরকারের ৬৪ কোটি ৪ লাখ ৪২ হাজার ৯১৮ টাকা আর্থিক ক্ষতি করেছিলেন।  

১৯৯২ সালের ৪ মে মামলাটি দায়ের করা হয়। ১৯৯৪ সালের ২৭ অক্টোবর চারজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। ১৯৯৫ সালের ১২ আগষ্ট আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়।

হাইকোর্টে নির্দেশে দীর্ঘদিন নিম্ন আদালতের বিচারকাজ স্থগিত ছিল। ২০০৮ সালের ১৫ জুন মামলার বিচারকার্য পুনরায় শুরু হয়।

বাঙলাদেশ সময় : ১৫৩০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২০, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।