ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

বিসিএস সমন্বয় কমিটির সংবাদ সম্মেলন

প্রস্তাবিত সিভিল সার্ভিস আইনে অসঙ্গতি রয়েছে

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৩৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৬, ২০১১

ঢাকা: সরকারের প্রস্তুতকৃত খসড়া ‘সিভিল সার্ভিস আইন ২০১০’ এর অনেক বিষয়ে অসঙ্গতি রয়েছে এবং এর কিছু বিষয় যথাযথ নয় বলে দাবি করেছে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস সমন্বয় কমিটি।

শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে কমিটির নেতারা একথা বলেন।



সংবাদ সম্মেলনে খসড়া আইনের অধ্যায়-২ এর ধারা ৪(ক)(২) এর উল্লেখ করে কমিটির সভাপতি কৃষিবিদ নজরুল ইসলাম বলেন, ‘নতুন আইনে বাংলাদেশ সরকারের উপ-সচিব, যুগ্ম-সচিব, অতিরিক্ত সচিব ও সচিব, মূখ্য সচিব ও মন্ত্রিপরিষদসচিব পদে অধিষ্ঠিত কর্মকর্তারা সিভিল সার্ভিসের সদস্য হবেন বলে নিয়ম করা হচ্ছে। ’

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস ক্যাডার কম্পোজিশান অ্যান্ড ক্যাডার রুল, ১৯৮০ অনুযায়ী সিভিল সার্ভিসের বিদ্যমান ২৮টি ক্যাডারের মধ্যে কোনো ক্যাডারের তফসিলে এসব পদের নাম বা কোনো অবস্থান নেই। ’

তিনি আরও বলেন, ‘খসড়া আইনের অধ্যায়-১ এর প্রারম্ভিক-এর ৩(৩) ধারা ও অধ্যায় ২এর ৫(গ) অনুযায়ী ১২শ গ্রেড থেকে ঊর্ধ্বের কর্মকর্তারা সিভিল সার্ভিসের সদস্য হবেন। একই আইনের অধ্যায়-২ এর ৫(১)(গ) অনুযায়ী ১০ম, ১১শ ও ১২শ গ্রেডের কর্মকর্তারা সিভিল সার্ভিসের জুনিয়র স্তরের কর্মকর্তা হবেন। অধ্যায়-২ এর ৪(৩) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সরকারের রাজস্ব খাতে কর্মরত নির্ধারিত দ্বিতীয় শ্রেণীর কর্মকর্তারা সিভিল সার্ভিসের সদস্য হবেন। এ আইনের ৫(৫) ধারায় বলা হয়েছে, সিনিয়র স্তরে সর্বনিম্ন গ্রেডে ৮০% সরাসরি নিয়োগ করা হবে। অবশিষ্ট ২০% জুনিয়র স্তরের সর্বোচ্চ গ্রেড অর্থাৎ ১০ গ্রেড থেকে পদোন্নতির মাধ্যমে পুরণ করা হবে। আবার জুনিয়র স্তারের সর্বনিম্ন গ্রেড অর্থাৎ ১২শ গ্রেডে সরাসরি নিয়োগের মাধ্যমে পূরণ করা হবে। ’

খসড়া আইনের এই ধারাকে অগ্রহণযোগ্য উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আইনের এ ধারাটি অত্যন্ত সাংঘর্ষিক। বর্তমানে সকল ক্যাডারের ক্ষেত্রেই ৯ম গ্রেড প্রবেশস্তর হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। একই সার্ভিসে দু’টি প্রবেশ স্তর রাখার কোনো যুক্তি থাকতে পারে না। ’

খসড়া আইনের উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘অধ্যায় ৫এর ১৪ (১) অনুযায়ী মাঠ পর্যায়ে কাজের অভিজ্ঞতা না থাকলে সচিবালয়ে সমপর্যায়ের কোনো পদে বদলি বা পদায়ন করা যাবে না- বলে আইন করা হচ্ছে। ’

তিনি বলেন, ‘আমরা মনে করি আইনের এ ধারাটিও যথাযথ নয়। অনেক অধিদপ্তর বা বিভাগের ইউনিট রয়েছে যা মেট্রোপলিটন এলাকার মধ্যে অবস্থিত, অথচ তা মাঠ পর্যায়ের পদ হিসেবে বিবেচিত হয়। যেমন, ঢাকা, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল বা সিলেটের ডেপুটি কমিশনারসহ অন্যান্য সরকারি অফিস। এই সংজ্ঞাটিকে আরো বাস্তবসম্মত করা প্রয়োজন। ’

লিখিত বক্তব্যের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সমন্বয় কমিটির সভাপতি কৃষিবিদ নজরুল ইসলাম আইনের ফাঁকফোকর বন্ধে সিভিল সার্ভিস আইনটি জাতীয় সংসদে পাশ করার দাবি জানান।

ওয়েবসাইটে উপস্থাপিত খসড়া আইনের বিভিন্ন ধারায় যেসব অসংগতি রয়েছে তা লিখিতভাবে সংস্থাপন মন্ত্রণালয়কে জানানো হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন কমিটির মহাসচিব মো. ফিরোজ খান।

অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, সহ সভাপতি মোস্তাক হোসেন, আবুল বাশার, দফতর সম্পাদক আলী আহাদ খান, প্রচার সম্পাদক স. ম. গোলাম কিবরিয়া, নারী বিষয়ক সম্পাদক ফাওজিয়া হক, সৈয়দ নুরুল ইসলাম প্রমুখ।

প্রস্তাবিত নতুন আইনে বয়স ৫৮ করার যে প্রস্তাব রয়েছে সেটা ৬৫ করার দাবি জানান তারা।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৬, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।