ঢাকা: বাংলাদেশে প্রতি বছর কুকুরের কামড়জনিত জলাতঙ্ক রোগে আনুমানিক দুই হাজার লোকের মৃত্যু ঘটে। সারা দেশে প্রায় এক লাখ মানুষ কুকুরের কামড়ের শিকার হয় যাদের বেশির ভাগই গ্রামাঞ্চলের বাসিন্দা।
মহাখালীতে বাংলাদেশ সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালের রোগ নিয়ন্ত্রণ বিভাগের পরিচালক প্রফেসর ড. মোয়াজ্জেম হোসেন রোববার এক সাংবাদিক সম্মেলনে বলেছেন, ‘বেশির ভাগ ক্ষেত্রে গরিব মানুষ এবং বিশেষ করে ১৫ বছরের কম বয়সী শিশুরা কুকুরের কামড় থেকে এ রোগে আক্রান্ত হয়। হতভাগ্যদের ৮৫ ভাগই গ্রামাঞ্চলের বাসিন্দা। ’
তিনি বলেন, ‘জলাতঙ্ক একটি ভাইরাসজনিত সংক্রামক রোগ যা পশুদের কাছ থেকে মানুষের শরীরে সংক্রমিত হয়। বিশেষ করে কুকুরে মাধ্যমে এটা ছাড়ায়। ’
অন্যদিকে, হাতুড়ে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়ায় বাংলাদেশে প্রতি বছর বহু লোক মারা যায়।
মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, ‘জলাতঙ্ক তখনই মানুষের শরীরে ছড়ায় যখন চামড়া ওঠা কোনো জন্তু তার সংস্পর্শে আসে। এসব জন্তুর কামড় বা আঁচড়ে এটা ছড়ায়। সাধারণভাবে বাঁদুড়, শেয়াল, বিড়ালও এ রোগে আক্রান্ত হয়। ’
তিনি বলেন, ‘পুরোপুরি প্রতিরোধযোগ্য রোগ জলাতঙ্ক যথাযথ চিকিৎসার মাধ্যমে সারানো সম্ভব। ’
সারা বিশ্বে প্রতি বছর ৫৫ হাজারেরও বেশি লোক জলাতঙ্কে মারা যান। এ হিসাব অনুযায়ী প্রতি ১০ মিনিটে একজন মৃত্যু হয়।
মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, ‘জলাতঙ্ক রোগীর সংখ্যা ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ’
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এ রোগ নিয়ন্ত্রণে রোগীর ত্বকে অত্যাধুনিক সেলকালচার ভ্যাকসিন প্রয়োগে ডাক্তার এবং নার্সদের প্রশিক্ষণের উদ্যোগ নিয়েছে। দেশের সব হাসপাতালে এ প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে বলে জানান মোয়াজ্জেম হোসেন।
তিনি বলেন, ‘নরসিংদী, কুতুবদিয়া ও কক্সবাজারসহ এ পাইলট প্রজেক্টের বিভিন্ন এলাকায় কুকুর রেজিস্ট্রেশনেরও উদ্যোগ নেওয়া হবে। ’
তিনি এ কাজ সমন্বয়ে স্বাস্থ্য বিভাগ, প্রাণিসম্পদ বিভাগ ও স্থানীয় সরকার বিভাগের প্রচেষ্টার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
বাংলাদেশ স্থানীয় সময়: ২০১০ ঘণ্টা, জুলাই ২৫, ২০১০