ঢাকা: চট্টগ্রাম বন্দরের প্রতিদিনের পরিচ্ছন্নতার কাজকর্ম শেষ করে একটি খালি কনটেইনারে ঘুমিয়ে পড়েন ক্লান্ত দ্বীন ইসলাম ও আলমগীর। ঘটনাটি গত ২১ মার্চ বা এর কাছাকাছি কোনো সময়ের।
এরপর ঘুম থেকে জেগে উঠে দেখেন ঘুঁটঘুঁটে অন্ধকার। কনটেইনারের দরজাও বন্ধ। এরপর চিৎকার, দরজায় জোরে জোরে আঘাত করতে থাকেন। কেউ শুনতে পায়নি। কনটেইনার ভেদ করে শব্দ পৌঁছায়নি কারো কাছেই। হাজার হাজার ইস্পাতের তৈরি কনটেইনারের গাদার নিচে চাপা পড়ে তাদের আর্তি।
একসময় কনটেইনারে থাকা দুইজন মানুষসহ একটি জাহাজ রওনা দেয় সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে। টানা তিন সপ্তাহ পর সিঙ্গাপুরের পাসির পানজাং টার্মিনালের কর্মীরা রোববার রাতে আবিষ্কার করে তাদের। মৃত অবস্থায় আলমগীরকে পাওয়া যায়। আর মারাত্মক অসুস্থ দ্বীন ইসলামকে আলেকসান্দ্রা হাসপাতলে ভর্তি করা হয়।
বুধবার সিঙ্গাপুরের পুলিশ জানায়, তারা দুজনই চট্টগ্রাম বন্দরের কর্মী। দুর্ঘটনাবশত তারা ওই কনটেইনারে আটকে পড়ে। দ্বীন ইসলাম সিঙ্গাপুরের পুলিশকে এ তথ্য জানিয়েছে। দুজনেরই বয়স ৩০-এর কোঠায়।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৩, ২০১১