ঢাকা, রবিবার, ২২ বৈশাখ ১৪৩১, ০৫ মে ২০২৪, ২৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

চাষিদের কাছ থেকে মিল মালিকদের ৪ টাকা দরে প্রতি কেজি লবণ কেনার নির্দেশ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৪৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৩, ২০১১
চাষিদের কাছ থেকে মিল মালিকদের ৪ টাকা দরে প্রতি কেজি লবণ কেনার নির্দেশ

ঢাকা: এখন থেকে লবণের প্যাকেটে সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য লেখা বাধ্যতামূলক করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

এছাড়া মিল মালিক ও প্যাকেটজাত করে লবণ বিক্রেতাকারীদের লবণ চাষিদের কাছ থেকে চার টাকা দরে বাধ্যতামূলকভাবে লবণ কেনার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।



বুধবার সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে লবণ চাষিদের সঙ্গে এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্তের কথা জানান বাণিজ্যমন্ত্রী ফারুক খান।  

এছাড়া এক লাখ টন লবণ কিনে সরকারের মজুদ বাড়ানোর জন্য বিসিককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানান বাণিজ্যমন্ত্রী।    

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও লবণ চাষিদের সূত্রে জানা গেছে,  সরকারের এ দর বেধে দেওয়ার আগে চাষিদের কাছ থেকে লবণ কেনার কোনো নির্ধারিত দর ছিল না।

বৈঠকে বলা হয়, লবণ খোলাবাজারে বিক্রি করতে হলে প্যাকেটের গায়ে অবশ্যই মূল্য লেখা থাকতে হবে।
তবে প্যাকেটের দাম কত হবে তা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়নি।

বৈঠকে মন্ত্রী লবণ চাষিদের বলেন, এখন থেকে লবণ বাজারজাতকারী কোম্পানিগুলোকে লবণ চাষিদের কাছ থেকে চার টাকা কেজি দরে লবণ কেনার জন্য  বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

একই সঙ্গে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, সরকার প্রতি বছর লবণ চাষিদের কাছ থেকে এক লাখ টন লবণ কিনে মজুদ গড়ে তুলবে।

মন্ত্রী জানান, এখন থেকে মাত্র চার শতাংশ সুদে লবণ চাষিরা রাষ্ট্রায়াত্ত্ব ব্যাংক থেকে ঋণ পাবেন।

ঋণের পরিমাণ হবে সর্বোচ্চ ২৫ হাজার টাকা।

গত মৌসুমে উপকূলীয় এলাকার প্রায় ৪৫ হাজার লবণ চাষি লবণ চাষ করলেও ন্যূনতম মূল্য পাননি।

বরং দেশের লবণ বাজারজাতকারী বড় বড় প্রতিষ্ঠান চাষিদের কাছ থেকে লবণ না কিনে ভারত থেকে লবণ আমদানি করে।

এতে ক্ষুব্ধ চাষিরা চলতি মৌসুমে লবণ চাষ থেকে বিরত থাকার সিদ্ধান্ত নেন।

গত কয়েক মাস ধরে লবণ চাষিরা কোস্ট ট্রাস্টের মাধ্যমে সরকারের বাণিজ্যমন্ত্রীর সঙ্গে এ নিয়ে দফায় দফায় বৈঠক করেন।

বাণিজ্যমন্ত্রী সম্প্রতি কক্সবাজারের উপকূলীয় এলাকায় লবণ চাষের মাঠ পরিদর্শন করেন।
এরপর বুধবার মন্ত্রী মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তের কথা জানান লবণ চাষিদের।

বিসিকের মাধ্যমে লবণ চাষিদের উন্নত প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

প্রসঙ্গত, দেশে প্রতিবছর লবণের চাহিদা ১৩ লাখ টন। গত মৌসুমে ১৭ লাখ ৪০ হাজার মেট্রিক টন উৎপাদন হয়।  

বাণিজ্যমন্ত্রীর সঙ্গে এ বৈঠকে বাংলাদেশ লবণচাষি সমিতির সভাপতি মোস্তফা কামাল চৌধুরী, কোস্ট ট্রাস্ট্রের কক্সবাজার প্রতিনিধি এফ এম নুরুল আলম, কোস্ট ট্রাস্টের সহকারী পরিচালক মোস্তফা কামাল আকন্দ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৩, ২০১১ 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।