ঢাকা, শনিবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

‘ডালিম ভবন’ পরিদর্শন করেছেন ট্রাইব্যুনাল

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩০৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৩, ২০১১

চট্টগ্রাম: একাত্তরে জামায়াত নেতা ও ব্যবসায়ী মীর কাশেম আলীসহ তৎকালীন আলবদর বাহিনীর ‘টর্চার সেল’ হিসেবে ব্যবহৃত চট্টগ্রামের ‘ডালিম ভবন’ পরিদর্শন করেছেন মানবতাবিরোধী আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্র্যাইব্যুনালের তদন্ত দলের সদস্যরা।

বুধবার সকাল ১০টা থেকে সাড়ে ১০টা পর্যন্ত তদন্ত দলের দু’সদস্য ওই ভবনে অবস্থান করেন।



চট্টগ্রামে তদন্ত দলের নেতৃত্বদানকারী নূরুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, ‘একাত্তর সালে ডালিম ভবনকে টর্চার সেল বানানো হয়েছিলো। এ সংক্রান্ত যথেষ্ট সাক্ষ্যপ্রমাণ, আলামত ট্রাইব্যুনালের হাতে আছে। এ কারণে তদন্তের অংশ হিসেবে ডালিম ভবন পরিদর্শন করেছি। ’

তবে এসময় কারো সাক্ষ্য নেওয়া হয়নি বলে বাংলানিউজকে জানান এএসপি নূরুল ইসলাম।

নগরীর পুরাতন টেলিগ্রাফ রোডে জমিদার শ্রী রঞ্জন নাথের মালিকানাধীন মহামায়া ভবনটিকে একাত্তর সালে মুক্তিযুদ্ধ শুরুর পর দখল করে নেয় তৎকালীন ইসলামী ছাত্রসংঘ ও আলবদর বাহিনীর নেতারা। পরে এটিকে টর্চার সেল হিসেবে বানানো হয়। নাম দেয়া হয় ডালিম ভবন।

অভিযোগ আছে, আলবদর বাহিনীর প্রধান হিসেবে তৎকালীন ইসলামী ছাত্রসংঘের নেতা মীর কাশেম আলী এ টর্চার সেলের নেতৃত্বে ছিলেন।

ওই টর্চার সেলে সেসময় প্রগতিশীল, বাম ও মুক্তিযুদ্ধ সমর্থক নেতাকর্মীদের এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরীহ লোকজনকে ধরে এনে ব্যাপক নির্যাতন চালানো হয়েছিল বলেও অভিযোগ আছে।

এর আগে মঙ্গলবার বিকেলে ট্রাইব্যুনালের তদন্ত দলের সদস্যরা গ্রেপ্তার হওয়া বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর বাসভবন নগরীর ‘গুডস হিল’ পরিদর্শন করেন।
গত বৃহস্পতিবার সাকা চৌধুরীর বিরুদ্ধে গণহত্যাসহ বিভিন্ন অভিযোগ তদন্তে চট্টগ্রাম যান একাত্তরের মানবতাবিরোধী আর্ন্তজাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চার সদস্য এবং প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট রানা দাশগুপ্ত।

শনিবার ট্রাইব্যুনালের তদন্ত দলের চার সদস্য চট্টগ্রামের রাউজানের কুন্ডেশ্বরী, জগৎমল্লপাড়া, উনসত্তর পাড়া এবং রাঙ্গুনীয়ার বেতাগীতে গিয়ে একাত্তরে সাকা চৌধুরীসহ রাজাকারদের হত্যা, লুণ্ঠন, অগ্নিসংযোগ, নারী নির্যাতন এবং গণহত্যার বিষয়ে কয়েকজন প্রত্যক্ষদশীর বক্তব্য নেন।

সাকা চৌধুরীর বিরুদ্ধে অভিযোগ সংক্রান্ত বেশকিছু সাক্ষ্যপ্রমাণ ও আলামত নিয়ে শনিবার রাতেই আইজি মর্যাদার দু’সদস্য আব্দুল হান্নান খান ও সানাউল হক চট্টগ্রাম ত্যাগ করেন।

ট্রাইব্যুনালের অপর দু’সদস্য এএসপি নূরুল ইসলাম এবং পুলিশ পরিদর্শক ওবায়েদ উল্লাহ বর্তমানে চট্টগ্রামে অবস্থান করে তদন্ত করছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৩০৩ঘণ্টা, এপ্রিল ১৩, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয় এর সর্বশেষ