রাজশাহী: নিখোঁজ হওয়ার ৩ দিন পর রাজশাহী মহানগরীর ধনাঢ্য ব্যবসায়ী আমিনুল হকের নয় টুকরো লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার রাত তিন টার দিকে নগরীর আলুপট্টি এলাকার ব্যবসায়ী সারোয়ার হোসেনের ভাড়া বাসা থেকে পুলিশ তার মৃতদেহ উদ্ধার করে।
পুলিশ জানিয়েছে, এ সময় ওই বাড়ি থেকে নগদ ১৯ লাখ ৪৮ হাজার টাকা এবং হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত একটি চাকু, একটি ছুরি ও একটি করাত উদ্ধার করা হয়। হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে সারোয়ার হোসেন ও তার সহযোগী আব্দুল হাকিমকে পুলিশ রাতেই আটক করে।
পরে সকালে আলী আহমদ, আনোয়ার হোসেন, সোহরাব আলী নামে আরও তিনজনকে আটক করে পুলিশ।
বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহাদাত হোসেন জানান, মোবাইল কলের সূত্র ধরে রাত তিন টার দিকে পুলিশ নগরীর আলুপট্টি এলাকার সারোয়ার হোসেনের ভাড়া বাসায় তল্লাশি চালিয়ে একটি ড্রাম থেকে আমিনুল হকের মাথা ও চার হাত-পা এবং বস্তার ভেতর থেকে শরীর উদ্ধার করে।
পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সারোয়ার হোসেন হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে বলেছে, মঙ্গলবার সকালে শ্বাসরোধ করে তাকে হত্যার পর লাশ গায়েব করতে নয় টুকরো এবং বস্তাবন্দী করা হয়।
হত্যাকান্ডের কারণ হিসেবে সে বলেছে, নগরীর হক ইন্টারন্যাশনাল আবাসিক হোটেলের জমির মালিকানা নিয়ে আমিনুল হকের সাথে তার দীর্ঘদিন থেকে বিরোধ চলছিল।
নিহত আমিনুল হক নগরীর একজন প্রথম শ্রেণীর ঠিকাদার এবং সাহেব বাজার আরডিএ মার্কেট সংলগ্ন হক ইন্টারন্যাশনাল নামের একটি আবাসিক হোটেলের মালিক। গত রোববার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে নওদাপাড়ার বাসা থেকে কিছু কাগজপত্র নিয়ে তিনি সাহেব বাজার জিরো পয়েন্টে আসেন। এ সময় তিনি গাড়ি চালক আসগর আলীকে সাহেব বাজার বড় মসজিদের কাছে অপেক্ষা করতে বলে গাড়ি থেকে নেমে যান। এরপর থেকে তার কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না।
এ ঘটনায় তার শ্যালক মাহমুদ হোসেন রোববার মধ্য রাতে বোয়ালিয়া মডেল থানায় অপহরণের অভিযোগ দায়ের করেন।
ব্যবসায়ীর নয় টুকরো লাশ উদ্ধারের ঘটনা প্রচার হলে গোটা রাজশাহী জুরে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১২২১ ঘণ্টা, ১৩ এপ্রিল, ২০১১