ঢাকা: বর্তমান সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে বিচারপতিদের অভিসংশনের ক্ষমতা জাতীয় সংসদের হাতে ন্যস্ত করা হবে।
মঙ্গলবার সংবিধান সংশোধনে গঠিত বিশেষ কমিটির সদস্যবৃন্দ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে বৈঠক করেন।
সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টা থেকে রাত পৌনে এগারোটা পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে সংবিধানের ৬৬ অনুচ্ছেদ থেকে ১১৬ অনুচ্ছেদ পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে আলোচনা করা হয়। এর মধ্যে উল্লেখ্যযোগ্য ছিল বিচারপতিদের অপসারনের বিষয়টি।
৭২‘ এর সংবিধানে বিচারপতিদের অভিসংশনের ক্ষমতা সংসদের হাতে ছিল। পরে এই ক্ষমতা সংবিধান থেকে বাদ দেয়া হয়।
বৈঠকের আলোচনায় সিদ্ধান্ত নেয়া হয় যে, ৭২‘ এর সংবিধানের এই ধারা ফিরিয়ে এনে বিচারপতিদের অপসারন ক্ষমতা সহ অন্য সব বিলুপ্ত সাবিংধানিক ক্ষমতা আবার সংসদের হাতে ন্যস্ত করা হবে।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টাদের নিয়োগের বিধান বর্তমানে যেভাবে আছে সেভাবেই রাখার পক্ষে বৈঠকে মত দেয়া হয়েছে।
এছাড়া বৈঠকে সংবিধান সংশোধন কমিটির পূর্বে নেয়া সিদ্ধান্তগুলো বহাল রাখার পক্ষে একমত পোষণ করেন সবাই। এজন্য সংবিধান সংশোধনের প্রস্তাবগুলো চূড়ান্ত করার আগে সংবিধান বিশেষজ্ঞদের মতামত নেয়া হবে।
৭২‘ এর সংবিধান যেভাবে ছিলো সেভাবেই ফিরিয়ে আনার সর্বোচ্চ চেষ্টা চালানো হবে বলে বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়।
বৈঠক শেষে সংবিধান সংশোধন কমিটির সদস্য হাসানুল হক ইনু বাংলানিউজকে বলেন ‘আমরা সংবিধানের অনুচ্ছেদগুলো নিয়ে ধারাবাহিকভাবে আলোচনা করছি। এ আলোচনা অব্যাহত থাকবে। ’
বুধবার রাত ৮টায় গণভবনে আবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এ বিষয় নিয়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
গতকাল সোমবারও অনুরুপ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সোমবারের বৈঠকে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা, রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম, নারীর ক্ষমতা, ক্ষুদ্র জাতি সত্ত্বা ইত্যাদি বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর মতামত নেওয়া হয়।
সোমবার সংবিধানের ৬৫ অনুচ্ছেদ পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে আলোচনা করা হয়েছিল।
সভায় সংবিধান সংশোধন কমিটির চেয়ারম্যান সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী, কো-চেয়ারম্যান সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, কমিটির সদস্য আমীর হোসেন আমু, আব্দুর রাজ্জাক, তোফায়েল আহমেদ, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, রাশেদ খান মেনন, ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, অ্যাডভোকেট আব্দুল মতিন খসরু, হাসানুল হক ইনু, ড. শিরিন শারমীন চৌধুরী, ড. হাছান মাহমুদসহ কমিটি সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ০০৪৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৩, ২০১১