ঢাকা : বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দলের মিছিল ও স্মারকলিপি পেশের কর্মসূচি থাকায় মঙ্গলবার সকাল ১১টার পর নগর জীবন স্থবির হয়ে পড়ে। সৃষ্টি হয় তীব্র যানজট।
সকাল সাড়ে এগারোটায় নারীনীতি ও শিক্ষানীতির প্রতিবাদে রাষ্ট্রপতির কাছে স্মারকলিপি দেওয়ার উদ্দেশ্যে পীর সাহেব চরমোনাই মুফতি সৈয়দ রেজাউল করিমের নেতৃত্বে একটি মিছিল মুক্তাঙ্গণ থেকে শুরু করে পল্টন মোড়, প্রেসক্লাব, দৈনিক বাংলা মোড়ে গেলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়।
দীর্ঘ দেড় কিলোমিটার লম্বা এ মিছিলে পুলিশ বাধা দিলে হাজার হাজার নেতা-কর্মী এলোমেলোভাবে রাস্তায় মিছিল করতে থাকে। ফলে ওই এলাকায় তীব্র যানজট দেখা দেয়।
এদিকে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল নেতা হাবিবুর রশীদ হাবিবকে গুলি করে হত্যাচেষ্টার প্রতিবাদে নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বরাবরে স্মারকলিপি দিতে মিছিল সহকারে বিজয়নগর পানির ট্যাঙ্কির সামনে পৌঁছলে পুলিশ ছাত্রদলের মিছিলে বাধা দেয়।
এসব মিছিলের কারণে নগরীর প্রেসক্লাব, পল্টন, বিজয় নগর, দৈনিক বাংলা, শাপলা চত্বর, হাইকোর্ট এলাকা, শাহবাগ, শাহজাহানপুর, ফকিরাপুল, মগবাজারসহ বিভিন্ন সড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে ঢাকা নগরী কয়েক ঘণ্টার জন্য স্থবির হয়ে পড়ে।
চতুর্মুখী মিছিলে দিশেহারা হয়ে পড়ে পুলিশ। অবর্ণনীয় দুর্ভোগে পড়েন নগরীতে চলাচলকারী বাসসহ বিভিন্ন যানবাহনের যাত্রীরা। নগরীর মহাখালী, ফার্মগেট, নিউমার্কেট, যাত্রাবাড়ী এলাকা পর্যন্ত যানজট ছড়িয়ে পড়ে।
দুই ঘণ্টা পর পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এলেও বেলা আড়াইটা পর্যন্ত নগরীর অনেক সড়কে যানজট দেখা গেছে। এ কারণে অনেক যাত্রী ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তাদের সরকার ও বিরোধী দলকে গালাগালি করতেও শোনা যায়।
বনানীতে বেসরকারি একটি কোম্পানিতে চাকরি করেন গোলাম মোস্তফা। তিনি জানান, মহাখালী থেকে ১১টায় বাসে উঠলেও দুপুর ২টা পর্যন্ত মতিঝিল পৌঁছতে পারেননি।
নাসরিন আকতার সকাল ৮টায় টঙ্গী থেকে রওয়ানা দিয়ে দুপুর ২টায় পল্টন পৌঁছেন বলে জানান। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘আমার এখানে কাজ সেরে বাসায় ফিরতে সন্ধ্যা হয়ে যাবে। আজকের এই মিছিল মিটিংয়ের কারণেই আমাদের এই দুর্ভোগ।
বাংলাদেশ সময় : ১৪২৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ১২, ২০১১