ঢাকা, শুক্রবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

বিমানের পরিচালক মাজহারুল আদালতের আদেশে চাকরি ফিরে পেলেন

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪১১ ঘণ্টা, এপ্রিল ১২, ২০১১

ঢাকা: জোট সরকারের আমলে চাকরি থেকে বাধ্যতামূলক অবসর দেওয়া বিমানের এক কর্মকর্তা আদালতের আদেশে চাকরি ফিরে পেয়েছেন। মুক্তিযোদ্ধা কর্মকর্তা মাজহারুল হক চৌধুরী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের কাস্টমার সার্ভিস বিভাগের পরিচালক হিসেবে এরই মধ্যে চাকরিতে যোগদান করে অফিস শুরু করেছেন বলে বিমানসূত্র জানায়।

 

মাজহারুল হক চৌধুরীকে জোট সরকারের আমলের শেষ পর্যায়ে তৎকালীন ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুল মোমেন বাধ্যতামূলক অবসর দেন। এর বিরুদ্ধে মাজহারুল হক চৌধুরী হাইকোর্টে রিট করেন। গত বছর হাইকোর্ট এক রায়ে বাধ্যতামূলক অবসর দেওয়াকে অবৈধ ঘোষণা করে মাজহারুলকে চাকরিতে স্বপদে পুনর্বহালের নির্দেশ দেন।

হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে বিমান কর্তৃপক্ষ সুপ্রিম কোর্টে আপিল করে। বিচারপতি এবিএম খায়রুল হাকের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ গত ৪ এপ্রিল রায় ঘোষণা করে হাইকোর্টের রায়কেই বহাল রাখে।

আপিল বিভাগের রায়ের পর মাজহারুল হক চৌধুরী গত সপ্তাহে বিমানের পরিচালক হিসেবে আবারও দায়িত্ব পালন শুরু করেছেন বলে বিমান সূত্র জানায়।

সূত্র জানায়, তৎকালীন বিমানের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক  বর্তমানে ওএসডি যুগ্ম-সচিব ও অধুনা কলামিস্ট আবদুল মোমেন বিমানের দ্বারা অনেকেই রাজনৈতিক ক্ষমতার প্রভাবে বাধ্যতামূলক অবসরসহ নানা হয়রানির শিকার হন। এছাড়া তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগও ওঠে।

এসব অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আবদুল মোমেনের বিরুদ্ধে বর্তমান সরকারের আমলে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা অনুযায়ী বিভাগীয় মামলাও হয়। ১৩টি অভিযোগের ভিত্তিতে সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হয়েছে।

নিয়ম বহির্ভূতভাবে ১৫৪ কর্মকর্তাকে অবসরে পাঠানো ছাড়াও মোমেনের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ ওঠে তার মধ্যে রয়েছে- ২০০৭ সালের হজ ফ্লাইটে লিজ গ্রহণে অধিক টাকা ব্যয় করা, বিমানের স্বার্থ বিবেচনা না করে ঢাকা-ব্যাংকক-সিঙ্গাপুর রুট চালু করা, বিমানের কর্মকর্তা-কর্মচারী নীতিমালা লঙ্ঘন করে কয়েক কর্মকর্তাকে বিদেশের বিলাসবহুল হোটেলে অবস্থানের অনুমতি দেওয়া, বিমান বাংলাদেশের সঙ্গে বিদেশে নিম্নমানের হোটেলের চুক্তি করা, শ্রমআইন অমান্য করে বিমানের প্রকৌশল কমপ্লেক্সে ইউনিয়ন গঠনের অনুমতি দেওয়া, বৈমানিকদের বিদেশে প্রশিক্ষণ বাবদ অর্থের নামে অবৈধভাবে টাকা ছাড় দেওয়া, ভিআরএসের আওতায় ৪৮ কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো, বেশি দামে ট্রিমপ্যানেল কেনার জন্য সুপারিশকারী দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ না করা, করাচি স্টেশনের ১০ কোটি রুপি অর্থ আত্মসাতের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়া ইত্যাদি।

বাংলাদেশ সময়: ১৩১০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১২, ২০১১ 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।