কেশবপুর (যশোর): জন্মের ৫ ঘণ্টা পর কেশবপুর শহরের কপোতাক্ষ সার্জিক্যাল ক্লিনিকে দুই মাথাওয়ালা শিশুটির মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার সকালে ওই শিশুটির জন্ম হয়।
শিশুটিকে দেখার জন্য শত শত মানুষ ক্লিনিকের সামনে ভিড় করতে থাকে। এক পর্যায়ে ভিড় সামাল দিতে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ ও শিশুটির পিতা সমিত মজুমদার শিশুটিকে জনসমক্ষে নিয়ে আসেন।
শিশুটির দেহে দু’টি মাথা, দু’টি হাত, চারটি চোখ, চারটি কান, দুইটি পা ও দুইটি নাক ছিলো।
কেশবপুর হাসপাতালের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. হেদায়েতুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, ক্রোমোজম বা জন্মকোষের ক্রটির কারণে এ ধরনের শিশুর জন্ম হয়ে থাকে। এ ধরনের শিশুর জন্ম নেওয়ার পর মায়েদের কোন ক্ষতি হবার সম্ভাবনা থাকে না। ’
জন্মের পরপরই এ সব অস্বাভাবিক শিশুর মৃত্যু ঘটে থাকে বলেও জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, কেশবপুরের গড়ভাঙ্গা গ্রামের সমিত মজুমদারের স্ত্রী সীমা মজুমদারের প্রসব বেদনা শুরু হলে সকালে তাকে শহরের কপোতাক্ষ সার্জিক্যাল ক্লিনিকে ভর্তি করা হয় ।
সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের ডা. আবুল কালাম আজাদ অস্ত্রপচারের মাধ্যমে দুই মাথাবিশিষ্ট একটি পুত্র সন্তান জন্মগ্রহণ করান।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৬ ঘণ্টা, মে ৬, ২০১১