ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

জলবায়ুর পরিবর্তন

২০৩০ সাল নাগাদ বোরো ধানের উৎপাদন ৩২ শতাংশ কমার আশঙ্কা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৭, ২০১১

ঢাকা: জলবায়ুর পরিবর্তনের কারণে বায়ুমণ্ডলের তাপমাত্রা বাড়ছে। আর এ বাড়তি তাপমাত্রার কারণে বোরো ধানের উৎপাদন ২০৩০ সাল নাগাদ ৩২ শতাংশ কমে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন বিজ্ঞানীরা।



একই সঙ্গে আমন ও আউশ ধানের উৎপাদনও হ্রাস পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

বুধবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘জলবায়ু পরিবর্তন ও কৃষি খাতে প্রভাব’ শীর্ষক এক সেমিনারের মূল প্রবন্ধে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়।

সেমিনারটি যৌথভাবে আয়োজন করে ঢাকা স্কুল অব ইকনমিক্স ও বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতি।

অর্থনীতিবিদ ড. খলিকুজ্জমান আহমেদের সভাপতিত্বে মূল প্রবন্ধটি উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান (বিআইডিএস)’র গবেষণা বিভাগের প্রধান এম আসাদুজ্জামান।

তিনি তার প্রবন্ধে আরও বলেন, একই কারণে মাছ ও প্রাণিকুল হুমকির মুখে পড়ছে। মানুষের মতো তাদেরও খাদ্যাভাব ও পানির সঙ্কট দেখা দিতে পারে। তারাও নতুন রোগে আক্রান্ত হতে পারে।

বিজ্ঞানীরা ধারণা করছে, এতে করে মাছ ও প্রাণিকুলের উৎপাদন ক্ষমতা কমে যাবে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী আবদুল লতিফ বিশ্বাস। প্রধান অতিথি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুকি মোকাবেলায় বিজ্ঞানী, পরিবেশবিদ ও সরকারকে এক সঙ্গে কাজ করতে হবে।

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে কৃষি ও প্রাণি গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলোকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। তবেই টিকে থাকা সম্ভব হবে। ’

বাংলাদেশের কোনও জরিপ জাহাজ নেই উল্লেখ্য করে মন্ত্রী বলেন, ‘গভীর সমুদ্রে সম্পদ জরিপের জন্য আমাদের কোনও জরিপ জাহাজ নেই। ফলে গভীর সমুদ্রে আমাদের কী পরিমাণ সম্পদ আছে আমরা জানতে পারছি না। ‘

দু’টি জরিপ জাহাজ কেনার জন্য পরামর্শক কমিটি গঠন করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

আলোচনায় অংশ নেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এমএ সাত্তার মন্ডল।

তিনি বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব যাই হোক পালিয়ে বাঁচার কোনও উপায় নেই। বিজ্ঞানের মাধ্যমে টিকে থাকার কৌশল বের করতে হবে। ’

বিজ্ঞানীরা নিয়মিত গবেষণা করলে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে টিকে থাকা সম্ভব বলে মত দেন তিনি।

তিনি বলেন, ‘তবে এজন্য স্থানীয়ভাবে গবেষণা বাড়াতে হবে। প্রতিটি জেলায় কৃষি গবেষণাকে গুরুত্ব দিতে হবে। ’

সেমিনারে মুক্ত আলোচনা পর্বে কৃষিবিদসহ এনজিও প্রতিনিধিরা বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব সম্পর্কে কৃষকরা সচেতন নয়। তাদের সচেতন করতে হবে।

তারা বলেন, কৃষি ও জলবায়ু সংশ্লিষ্ট প্রকল্পগুলোতে নানা অনিয়ম হয়ে থাকে। তাই এ সংক্রান্ত তহবিল ব্যবস্থাপনায় নজর দিতে হবে।

বক্তারা জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবেলায় কৃষি খাতে গবেষণা বাড়ানোর গুরুত্বারোপ করেন।

বাংলাদেশ সময়: ২১২২ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৭, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।