কিশোরগঞ্জ: গত ২৪ ঘণ্টায় ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়ে কিশোরগঞ্জ আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে অর্ধশত রোগী।
কিশোরগঞ্জ পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের বয়লা, তারাপাশা ও সতাল এলাকার এসব রোগীর মধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যাই বেশী।
রোগীদের সঙ্গে আসা স্বজনদের মধ্যে ফয়সাল, সাউলিন, আম্বিয়া, ত্রপা, আসাদুজ্জামান ও সাইফুল বাংলানিউজকে জানান, হঠাৎ করে পেটের ব্যথা, বমি ও পাতলা পায়খানা শুরু হওয়ায় অসুস্থ স্বজনদের হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।
কর্তব্যরত চিকিৎসকরা জানান, হাসপাতালে ভর্তি এসব রোগী ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন।
চিকিৎসকদের মতে, পৌরসভার সাপ্লাইয়ের দূষিত পানি পান করায় তারা অসুস্থ হয়ে থাকতে পারে। এছাড়া গত কয়েকদিন যাবৎ মশা নিধনের জন্য পৌরসভা থেকে এলাকায় ওষুধ ছিটানো হয়েছে। পানি ও খাবারের সঙ্গে সেই ওষুধ মিশে পেটে যাওয়ায় ফলেও এ অবস্থার সৃষ্টি হয়ে থাকতে পারে।
হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীরা হচ্ছে, বয়লা এলাকার সাউদিয়া (৩), বুশরা (৫), নিছা (৬), মাসুদা ইয়াসমিন (৮), রাজু (৮), সুরাইয়া (৩), দিপা (৪), হামিদা (৫০), হেদায়েত উল্লাহ (৪৫) ও ৭নং ওয়ার্ডের পৌর কাউন্সিলর আরিফুল ইসলাম আরজু।
তারাপাশা এলাকার সাব্বির (৪), পাবন (৯ মাস), রহিমা (২), প্রীতি (দেড় বছর), ওমিতা (১), নাজমুল (৩৫), ফরিদ উদ্দিন (৪৫), মোবাশ্বিরা (৩), নিলুফা (৩৭), জমিলা (৫০), ছালছাবিল (৯), বাপ্পী (৮ মাস) ও সুজন (২৩)।
সতাল এলাকার শামছুল আলম (৫০), সাহেরা (১৯), শিহাব (৪৫), মীম (৮ মাস), সাবিনা (৯), মাহফুজ (২), শিমু (২২), আশ্রব (৩৫), সাহেরা (৩০) ও আরমান (২৫)।
এসব রোগীদের মধ্যে শামসুল আলম, নিলুফা, সাবিনা, শিহাব, সাহেরা ও পাবনের অবস্থা গুরুতর। এছাড়া ৭নং ওয়ার্ডের পৌর কাউন্সিলর আরিফুল ইসলাম আরজুকে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে।
কিশোরগঞ্জ আধৃুনিক সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক (আরএমও) ডা. আব্দুল মজিদ বলেন, গত শনিবার সকাল থেকে আজ রোববার দুপুর পর্যন্ত প্রায় অর্ধশত রোগী এরই মধ্যে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, দূষিত পানির কারণে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
রোগীদেরকে স্যালাইনসহ প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
কিশোরগঞ্জ জেলা সিভিল সার্জন ডা. দীন মোহাম্মদ বলেন, ‘হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়ার জন্য একটি টিম কাজ করছে। এছাড়া আজ (রোববার) দুপুরে আক্রান্ত এলাকায় (৭নং ওয়ার্ড) একটি স্পেশাল মেডিকেল টিম পাঠানো হবে। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৭, ২০১১