ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

কদমতলীতে ২০০ পরিবারকে জোর করে উচ্ছেদের অভিযোগ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৪১ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৭, ২০১১

ঢাকা: রাজধানীর কদমতলী থানাধীন মেরাজ নগর এলাকার ৭২টি বাড়ির প্রায় ২০০ পরিবারকে সন্ত্রাসীদিয়ে জোর করে উচ্ছেদের অভিযোগ করেছেন বাড়ির মালিকরা।

কদমতলী থানার জনগণের ব্যানারে রোববার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করা হয়।



সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়, গত ২৪ মার্চ যাত্রাবাড়ীর ধনিয়া এলাকার সন্ত্রাসী ও প্রায় দেড়ডজন মামলার আসামি কিলার মফিজ মোহাম্মদবাগের সন্ত্রাসী শামসুল হক ফকির, শ্যামপুরের সুকুমার দাস, গৌতম চন্দ্র সরকার ও অন্যদা সুন্দরীকে নিয়ে প্রশাসনের সহায়তায় এসব পরিবারকে তাদের বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করেন।

সন্ত্রাসীরা এসময় আইনগতভাবে তাদের উচ্ছেদ করা হচ্ছে বলে উল্লেখ করলেও উচ্ছেদের আগে এ সংক্রান্ত কোনো নোটিস প্রদান করেনি বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।

এ ব্যাপারে উচ্ছেদকৃত পরিবারের পক্ষ থেকে আদালতে একটি মামলা করা হয়েছে। মামলা দায়েরের পর তাদেরকে কিলার মফিজের লোকজন মামলা তুলে নেওয়ার জন্য ক্রমাগত হুমকি দিচ্ছে বলে ভূক্তভোগীরা অভিযোগ করেন।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত বাড়ির মালিক হালিমা খাতুন, নওশের আলী, রহিমা বেগম ও আবদুল মালেক বাংলানিউজকে বলেন, উচ্ছেদের সময় সন্ত্রাসীরা নারী-পুরুষ, শিশু, বৃদ্ধ সবাইকে টেনে হিঁচড়ে বাসা থেকে বের করে দেয়। এসময় তারা কান্নাকাটি করে হাতে-পায়ে ধরলেও সন্ত্রাসীরা কোনো কথা শোনেনি।

পরবর্তীতে উচ্ছেদের প্রতিবাদে ২৬ মার্চ জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানবন্ধন কর্মসূচি পালন করে এসব পরিবার।

জমির মালিকানা সম্পর্কে সংবাদ সম্মেলনে তারা জানান, কদমতলী থানার কদমতলী মৌজার ৩৬০ নং খতিয়ানের সি এস ও এস এ’র বিভিন্ন দাগের এসব জমির প্রকৃত মালিক ছিলেন ওই এলাকার নব কিশোর বেপারী। পরবর্তীতে তার নাতী চিন্তা হরন সরকার, রাধা রমন সরকার ও মনোরঞ্জন সরকারের কাছ থেকে তা কিনে নেন উচ্ছেদকৃতরা।

কিন্তু পরবর্তীতে উল্লেখিত সন্ত্রাসীরা এসব জমি কৌশলে অন্যদা সুন্দরীর নামে করিয়ে নেয়। এর সূত্রধরে এ বছরের ২৪ মার্চ তারা জমিতে বসবাসকারী ৭২টি বাড়ির প্রায় ২০০ পরিবারকে জোরপূর্বক উচ্ছেদ করে।

সংবাদ সম্মেলনে নিজেদের বাড়ি ফিরে পেতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন উচ্ছেদকৃত বাড়ির মালিকরা। এতে উপস্থিত বাড়ির মালিক ও তাতে বসবাসকারী পরিবারের সদস্যরা কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৪১ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৭, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।