ঢাকা: অবশেষে ঢাকা সিটি কর্পোরেশন(ডিসিসি) এলাকায় বসবাসরত দেড় কোটি মানুষের জন্য তৈরি হচ্ছে একটি আধুনিক পশু জবাইখানা।
এজন্য গাবতলী এলাকায় ৫ একর জমি চেয়েছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের আরবান পাবলিক অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট প্রকল্পের আওতায় ঢাকায় এ আধুনিক জবাইখানা বাস্তবায়িত হবে।
এজন্য এলজিইডির যুগ্ম সচিব নুরুল আলম খানকে প্রকল্প পরিচালক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
ডিসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাসির এ বিষয়ে বাংলানিউজকে বলেন, ‘ প্রকল্পটি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এরইমধ্যে স্থানীয় সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগ ঢাকা শহরের বিভিন্ন স্থান পরিদর্শন করেছে। ’
তিনি জানান, ঢাকা নগরীর জন্য আধুনিক জবাইখানা তৈরির জন্য ডিসিসির রাজস্ব বিভাগের কাছে গাবতলী হাট এলাকায় ৫ একর জমি চাওয়া হয়েছে।
ডিসিসির একাধিক কর্মকর্তা বাংলানিউজকে জানান, প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য গাবতলি হাট সংলগ্ন নদীর পাড়ে জমি চাওয়া হলেও রাজস্ব বিভাগ রহস্যজনক কারণে আরও দুরে জমি নির্ধারণ করেছে।
ডিসিসির স্বাস্থ্য বিভাগের অভিযোগ, রাজস্ব বিভাগ তুরাগ নদীর পাড় ইট-বালি ব্যবসায়ীদের কাছে অঘোষিত ভাবে ভাড়া দেওয়ার কারণে এমন জায়গায় জমি দিতে রাজী হয়েছে, যেখানে প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলেও তা কার্যকর হবেনা।
এছাড়া প্রকল্পের সঙ্গে কোনো অভিজ্ঞ ভেটেনারী কর্মকর্তা ও পাবলিক হেলথ বিশেষজ্ঞকেও সংশ্লিষ্ট করা হয়নি বলে জানা গছে। স্বাস্থ্য বিভাগের দাবি এতে প্রকল্পটি সঠিক ভাবে বাস্তবায়িত হবেনা এবং কার্যকর হবেনা।
বর্তমানে ঢাকায় কোনো জবাইখানা নেই বলে বাংলানিউজকে জানান ডিসিসির ভেটেনারি কর্মকর্তা ডা. আজমত আলী।
তিনি বলেন, ঢাকায় বর্তমানে কোনো জবাইখানা না থাকলেও ডিসিসির ছয়টি ট্রাডিশনাল জবাইয়ের স্থান আছে। সেগুলো হলো হাজারীবাগ, কসাইটুলি, মিরপুর-১ ও মিরপুর-১১, গুলশান, কাপ্তান বাজার ও মোহাম্মদপুর।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৫ঘণ্টা, এপ্রিল ১১, ২০১১