ঢাকা: পুঁজিবাজারে কারসাজির কারণ অনুসন্ধানে গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন পেলে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের দায়ী কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এ ব্যাপারে স্বত:প্রণোদিত হয়েই তদন্ত করবে দুদক।
দুদকের চেয়ারম্যান ড. গোলাম রহমান ও কমিশনার মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিন সোমবার বাংলানিউজকে এ তথ্য জানান।
প্রায় ৩০ লাখ বিনিয়োগকারীর কথা বিবেচনা করেই দুদক স্বত:প্রণোদিত হয়ে তদন্ত করে পুঁজিবাজারে কারসাজির নায়কদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে জানিয়ে চেয়ারম্যান বলেন, ‘শেয়ারবাজারে কারসাজির কারণে লক্ষ লক্ষ বিনিয়োগকারী ও দেশের অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ’
তিনি বলেন, ‘অপরাধী যারাই হোক কেউ পার পাবে না। ’
প্রসঙ্গত, খোন্দকার ইব্রাহীম খালেদের নেতৃত্বাধীন তদন্ত কমিটি এসইসির চেয়ারম্যান জিয়াউল হক খন্দকার এবং দুই নির্বাহী পরিচালক আনোয়ারুল কবির ভূঁইয়া ও তারেকুজ্জামানের বিরুদ্ধে সরাসরি কারসাজিতে জড়িত থাকার অভিযোগ তুলেছে।
এ প্রসঙ্গে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ‘এসইসির বর্তমান বা সাবেক কোনো কর্মকর্তা যদি ক্ষমতার অপব্যবহার করে থাকেন এবং কোনো ধরনের প্রভাব খাটিয়ে থাকেন তবে অবশ্যই তাদের ব্যবস্থা নেবে দুদক। ’
এক প্রশ্নের জবাবে গোলাম রহমান বলেন, ‘বেসরকারি কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান যদি এসইসি কর্মকর্তাদের প্রভাবিত করে কোনো অনিয়ম করে থাকেন তবে ওই বেসরকারি ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে দুদক কোনো ব্যবস্থা নিতে পারে না। ’
তদন্ত প্রতিবেদন এখনও দুদকের কাছে আসেনি জানিয়ে গোলাম রহমান বলেন, ‘এখতিয়ারভুক্ত বিষয়গুলোতে স্বপ্রণোদিত হয়েই তদন্ত করবে দুদক। ’
এদিকে বিডি-থাই অ্যালুমিনিয়াম ও জেএম গ্লোবাল ১৫ কোটি টাকা পাচার করেছে বলে তদন্ত প্রতিবেদনে অভিযোগ করা হয়েছে।
এ সম্পর্কে দুদকের কমিশনার মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিন বলেন, ‘ দুদক আইনে মানি লন্ডারিং (অর্থ পাচার) তপসিলভুক্ত অপরাধ। ’
তিনি বলেন, ‘দুদক নিজের আইন অনুযায়ীই মানি লন্ডারিংয়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার অধিকার রাখে। ’
বাংলাদেশ সময়: ২০১৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ১১, ২০১১