ঢাকা: অ্যান্টিবায়োটিকে পরিমিত ব্যবহার নিশ্চিত করতে জাতীয় পর্যায়ে নীতিমালা প্রণয়নের আহবান জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা।
বিশেষজ্ঞদের মতে, মাত্রাতিরিক্ত অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার বিপজ্জনক।
বৃহস্পতিবার বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) মিলন হলে আয়োজিত ‘অ্যান্টিমাইক্রোবায়াল রেজিসটেন্স’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তরা এ আহবান জানান।
উল্লেখ্য বৃহস্পতিবার বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস। এবছরের প্রতিপাদ্য ‘অ্যান্টিমাইক্রোব্যাকটেরিয়াল রেজিসটেন্স: নো অ্যাকশন টুডে, নো কিউর টুমরো’।
সেমিনারে গত একবছরে অ্যান্টিবায়েটিকের ব্যবহারের উপর তিনটি প্রেজেন্টশনে দেশের চারটি হাসপাতালের ওপর পরিচালিত গবেষণালব্ধ তথ্য তুলে ধরা হয়।
পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, এসব হাসপাতালে রোগীদের অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারে নির্দেশনা দিতে মাত্র ৩৩ শতাংশ গাইড লাইন মানছেন চিকিৎসকরা। ঢাকার ওষুধের বিক্রয় কেন্দ্রগুলোতে চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র ছাড়াই এজিথ্রোমাইসিন, লিভফ্লোক্সাসিন, এমোক্সিসিলিন ও সেফ্রাডিনের মতো অতিমাত্রার অ্যান্টিাবায়োটিক ব্যবহার করা হচ্ছে ভাইরাস জ্বর সারাতে যা অনুচিত বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা।
গবেষণায় প্রাপ্ত তথ্য বিশ্লেষণ করে চিকিৎসকরা আরও বলেন, ৮০ দশমিক দুই শতাংশ রোগী চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী অ্যান্টিবায়োটিকের সম্পূর্ণ ডোজ গ্রহণ করেন। ১৯ দশমিক ৮ শতাংশ রোগী নির্ধারিত সময়ের আগেই এটা বন্ধ করে দেন। ফলে রোগীর দেহে অ্যান্টিবায়োটিকে কার্যকারিতা হ্রাস পায়।
সেমিনারে বক্তব্য রাখেন বিএসএমএমইউ ফার্মাকোলজী বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. সাইদুর রহমান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. খন্দকার মো. সিফায়েতুল্লাহ, বিএসএমএমইউ-র উপাচার্য অধ্যাপক ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বাংলাদেশ প্রতিনিধি ডা. অরুণ ভদ্র থাপা।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৪ ঘণ্টা, ৭ এপ্রিল ২০১১