ঢাকা, শনিবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণকাজ এ মাসেই শুরু: যোগাযোগমন্ত্রী

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮১৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ৭, ২০১১

ঢাকা: রাজধানী ঢাকার যানজট কমাতে উত্তরা থেকে যাত্রাবাড়ীর চিটাগাং রোড পর্যন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণকাজ চলতি মাসেই শুরু হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের বনানী-ডিওএইচএস-বারিধারা অংশে প্রকল্প এলাকা পরিদর্শনের সময় যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।



হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে মহাখালী-মগবাজার-কমলাপুর-যাত্রাবাড়ী হয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুতুবখালী পর্যন্ত দুইটি লিংকসহ এক্সপ্রেসওয়েটি হবে প্রায় ২৬ কিলোমিটার এবং ঘূর্ণায়মান পথসহ হবে ৩২ কিলোমিটার দীর্ঘ।

এর একটি লিংক থাকবে হোটেল সোনারগাঁওয়ের পেছনে। অপরটি থাকবে তেজগাঁও সাত-রাস্তা হয়ে ফার্মগেট পর্যন্ত।

বক্স-গার্ডারে নির্মিতব্য এক্সপ্রেসওয়েটি নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ৮ হাজার ৭ শ’ তিন কোটি টাকা। এতে মোট বিনিয়োগের শতকরা ২৭ ভাগ দেবে সরকার। নির্মাণের সময় এবং অপারেটিং পর্যায়ে দুই ধাপে সরকারের অংশ দেওয়া হবে। অবশিষ্ট অর্থ দেবে বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান। নির্মাণ শেষ হলে চুক্তি অনুযায়ী এক্সপ্রেসওয়েটি নিদিষ্ট সময় পর সরকারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

সৈয়দ আবুল হোসেন বলেন, ‘দেশের বৃহত্তম পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপভিত্তিক এ প্রকল্পের নির্মাণকাজ প্রধানমন্ত্রী আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করবেন। ’

বর্তমান সরকারের সময়েই এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণকাজ শেষ হবে বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেন।
প্রকল্পের সাইট পরিদর্শনের সময় যোগাযোগমন্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সেতুবিভাগের সচিব মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া, এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পের পরিচালক প্রকৌশলী আবদুল ওয়াদুদ, বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান ইতালিয়ান-থাই ডেভেলপমেন্ট পাবলিক কোম্পানি লিমিটডের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

যোগাযোগমন্ত্রী জানান, এক্সপ্রেসওয়েটি পরবর্তী সময়ে উত্তর দিকে জয়দেবপুর চৌরাস্তা এবং দক্ষিণে নারায়ণগঞ্জ পর্যন্ত সম্প্রসরণ করা হবে। যা একদিকে কাচপুর সেতু, অপরদিকে মাওয়ার কাছে পদ্মা সেতুকে সংযুক্ত করবে।

তিনি বলেন, ‘প্রকল্পটি ঢাকা মহানগরীর উত্তরাংশের সঙ্গে মধ্যবর্তী, দক্ষিণ এবং দক্ষিণ-পূর্ব অংশের গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক কেন্দ্রগুলোকে সংযুক্ত করবে। ’

পরিদর্শন শেষে মন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ‘ঢাকা মহানগরীর যানজট নিরসনে সমন্বিত উদ্যোগ হিসেবে মেয়র হানিফ ফ্লাইওভার, মিরপুর-এয়াপোর্ট রোড ফ্লাইওভার ও বনানী রেল-ক্রসিংয়ে ওভারপাস এবং কুড়িল ফ্লাইওভার নির্মাণের কাজ চলমান রয়েছে। ’

শিগিগিরই মেট্রোরেল ও বাস র‌্যাপিড ট্রানজিটের কাজও শুরু হবে বলে তিনি জানান।

মন্ত্রী বলেন, ‘মহানগরীর প্রবেশপথগুলো চার থেকে আট লেনে উন্নীত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ’
 
এসব প্রকল্পের কাজ শেষ হলে ঢাকা মহানগরী যানজটমুক্ত হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

গত ১৯ জানুয়ারি এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের লক্ষ্যে সরকারের সঙ্গে বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানের চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৫০ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৭, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয় এর সর্বশেষ