ঢাকা: গাদ্দাফিবিরোধী বিক্ষোভে সংঘাতময় লিবিয়া ছেড়ে আরও ৭১ জন বাংলাদেশি গত সোমবার প্রতিবেশী তিউনিসিয়া ও মিসরে আশ্রয় নিয়েছেন। এদের মধ্যে তিউনিসিয়ার রাস দির সীমান্তে এসেছেন ৬৮ জন এবং মিসরের আল সালৌম সীমান্তের এসেছেন তিন জন।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানায়।
নতুন করে ৬৮ জন তিউনিসিয়া সীমান্তে যাওয়ায় বাংলাদেশির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে প্রায় নয়শ’ জনে।
তিউনিসিয়ার সীমান্তে অবস্থান নেওয়া বাংলাদেশিদের প্রত্যাবাসনের জন্য বুধবার থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এক দিন পর পর তিনটি ফ্লাইট পরিচালনা করবে।
অন্যদিকে মিসরে অবস্থানকারী তিন বাংলাদেশিকে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) ব্যবস্থাপনায় কায়রো বিমানবন্দর থেকে বাণিজ্যিক ফ্লাইটে প্রত্যাবাসনের ব্যবস্থা করা হবে।
এদিকে গ্রিসের ক্রিট দ্বীপের হানিয়ায় নিখোঁজ লিবিয়া ফেরত এক বাংলাদেশির এখনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, মঙ্গলবার পর্যন্ত ৩৪ হাজার ১৯৮ জন বাংলাদেশিকে প্রত্যাবাসন করা হয়েছে। এর মধ্যে তিন হাজার ৮৩১ জন এসেছেন নিজ বা কোম্পানির ব্যবস্থাপনায়। আইওএমের ব্যবস্থাপনায় এসেছেন ২৭ হাজার ১০ জন। তিন হাজার ৩৫৭ জন ফিরেছেন বিমানের ফ্লাইট যোগে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, লিবিয়া থেকে প্রতিবেশী দেশগুলোতে আশ্রয় নেওয়া বাংলাদেশিদের বাংলাদেশে প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরুর পর থেকে এ যাবৎ ১২৫টি ফ্লাইট পরিচালনা করা হয়েছে।
এর মধ্যে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে ব্যয় ভাগাভাগি করে আইওএমের ব্যবস্থাপনায় ১১২টি ফ্লাইট ভাড়া করেছে। অন্যদিকে বিমান ১৩টি ফ্লাইট পরিচালনা করেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৫, ২০১১