ঢাকা: যানজটে নাকাল হচ্ছেন এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার্থীরা। তীব্র যানজটের কারণে মঙ্গলবার পরীক্ষা শুরুর প্রথম দিনেই নির্ধারিত সময়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছতে পারেননি অনেক শিক্ষার্থীই।
প্রথম দিনের এ অভিজ্ঞতা অবশিষ্ট পরীক্ষাগুলোতে যথাসময়ে কেন্দ্রে উপস্থিত হতে না পারার অনিশ্চয়তা জাগিয়ে তুলেছে। বিষয়টি নিয়ে পরীক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা উদ্বিগ্ন হয়ে উঠেছেন। এ পরিস্থিতিতে পরিক্ষার্থীদের হাতে যথেষ্ট সময় নিয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রের উদ্দেশে রওয়ানা হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।
উদয়ন স্কুল ও কলেজের বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী জান্নাত পূর্ণতা পরীক্ষা দিচ্ছেন ঢাকা কলেজ কেন্দ্রে। পরীক্ষা শেষে যানবাহন না পেয়ে হেঁটেই কাঁটাবনে বাসায় ফেরেন তিনি।
বাংলানিউজকে আক্ষেপ ভরে বলেন, ‘নির্ধারিত সময়ের দু’ঘণ্টা আগে বাসা থেকে বের হয়েও যথাসময়ে কেন্দ্রে পৌছঁতে পারিনি। পরীক্ষা শেষেও ফিরতে হলো পায়ে হেঁেট। ’
একই আক্ষেপ পূর্ণতার সহপাঠী মোহনা ও জেরিনের। ঢাকা কলেজ কেন্দ্রে পরীক্ষা শেষে পায়ে হেঁটে শাহবাগ পর্যন্ত ফিরতে হয় তাদের।
বাংলানিউজকে তারা বলেন, ‘এতো দুর্ভোগের মধ্যে পরীক্ষা দেওয়া কঠিন। পরীক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে পরীক্ষা কেন্দ্রগুলোর কাছাকাছি স্থানে যানবাহনের বিশেষ ব্যবস্থা নিলে ভালো হয়। ’
ওয়েস্টার্ন কলেজের ইংরেজি শিক্ষক গোলাম সারওয়ার বাংলানিউজকে বলেন, ‘আগামী ৩১ মে পরীক্ষা শেষ হওয়া পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ পরিবহনের ব্যবস্থা করা উচিৎ। ’
উত্তরার অভিভাবক আবদুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, ‘কাছাকাছি পরীক্ষা কেন্দ্র থাকলে যানজটের এই ভোগান্তিটা পোহাতে হতো না। হয় কাছাকাছি কেন্দ্র করুক, না হয় যানজট নিরসনের উদ্যোগ নিক। ’
বিষয়টি নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে বাংলানিউজকে তিনি বলেন, ‘পরীক্ষার্থীদের পড়াশোনার কথা বিবেচনা করে লোডশেডিং কমানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। হুট করে যানজট কমানো সম্ভব না। যানজটের কথা মাথায় রেখে শিক্ষার্থীরা সময় নিয়ে বাসা থেকে বেরুতে পারে। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ৫, ২০১১