ঢাকা: সৌদি আরব বাংলাদেশ থেকে প্রতি মাসে সম্পূর্ণ বিনা খরচে ১০ হাজার করে কর্মী নেবে।
প্রাথমিকভাবে নারী গৃহকর্মী এবং পর্যায়ক্রমে হাউজ ড্রাইভার, মালি ও দারোয়ান নেবে তারা।
আগামী ২ মাসের মধ্যে কর্মী পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হবে।
এছাড়া গৃহকর্মীর কাজে সৌদি যেতে ইচ্ছুক নারীদের মাঠ পর্যায় থেকে সংগ্রহ ও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করবে বাংলাদেশ সরকার।
মঙ্গলবার বৈদেশিক কর্মসংস্থান ও প্রবাসীকল্যাণমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন তার কার্যালয়ে এ তথ্য জানান।
এদিন বাংলাদেশে সফররত সৌদি ন্যাশনাল রিক্রুটিমেন্ট কমিটি সানারকমের প্রতিনিধি দল প্রবাসীকলাণমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের পর মন্ত্রী এসব কথা সাংবাদিকদের জানান।
প্রবাসীকল্যাণমন্ত্রী জানান, গৃহকর্মীদের অভিবাসন ব্যয় নির্বাহ করবে সৌদি আরবের নিয়োগ কর্তৃপক্ষ। সৌদি স্পন্সর বাংলাদেশি নিয়োগকারী বরাবর ব্যাংকিং চ্যানেলে ৮শ মার্কিন ডলার পাঠাবে। এ অর্থ দিয়ে কর্মীদের বিমান ভাড়া, মেডিকেল প্রশিক্ষণ, রিক্রুটিং এজেন্সির সার্ভিস চার্জসহ অন্যান্য ব্যয় মেটানো হবে।
এরপরও কোনো রিক্রুটিং এজেন্সি সৌদি যেতে ইচ্ছুক নারীকর্মীদের কাছ থেকে টাকা নিলে তাদের লাইসেন্স বাতিল করা হবে বলে সতর্ক করে দেন মন্ত্রী।
মন্ত্রী আরো জানান, ২০০৭ সাল থেকে সৌদি শ্রম বাজার প্রায় বন্ধ হয়ে যায়। ২০০৯ সালের এপ্রিলে প্রধানমন্ত্রী সৌদি সফরের সময় সে দেশের সরকারের সঙ্গে কথা বলেন। পরে গত বছরের সেপ্টেম্বরে প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে একটি প্রতিনিধি দল সৌদি সফর করে। এভাবে বিভিন্ন সময় কূটনৈতিক প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার ফলে সৌদি সরকার প্রাথমিকভাবে গৃহকর্মী এবং পর্যায়ক্রমে হাউজ ড্রাইভার, মালি ও দারোয়ান নেওয়ার নিশ্চয়তা দেয়। তবে এক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকার কী কী পদক্ষেপ নিবে তার নিশ্চয়তা চায় তারা।
এ লক্ষ্যেই সৌদি যেতে ইচ্ছুক গৃহকর্মীদের আরবি ভাষা, সৌদি রীতি-নীতি ও সংস্কৃতি সম্পর্কিত ২১ দিনের প্রশিক্ষণ পর্যবেক্ষণ করতেই সানারকম প্রতিনিধিদল বাংলাদেশ সফর করছে।
ইতোমধ্যে কর্মীদের নাম নিবন্ধন ও প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে বলে জানান মন্ত্রী।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৫, ২০১১