ঢাকা, বুধবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

সেমিনারে বিশেষজ্ঞরা

দেশে প্রসবকালীন মা ও শিশুমৃত্যু হার উদ্বেগজনক

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩১২ ঘণ্টা, এপ্রিল ৫, ২০১১

ঢাকা: দেশে গত দু’দশকে শিশু মুত্যৃ হার উল্লেখযোগ্যভাবে কমানো সম্ভব হলেও প্রসবকালীন মা ও শিশু মৃত্যুর হার এখনও উদ্বেগজনক।

এর অন্যতম কারণ মাত্র ২৬ দশমিক ৫ শতাংশ গর্ভবতী মা প্রসবের সময় চিকিৎসক, সেবিকা অথবা প্রশিক্ষিত ধাত্রীর সহযোগিতা পেয়ে থাকেন।



মঙ্গলবার সকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বাংলাদেশ পেরিনেটাল সোসাইটি আয়োজিত ৮ম জাতীয় সম্মেলন ও বৈজ্ঞানিক সেমিনারে বক্তারা এসব তথ্য দেন।
 
সেমিনারে উপস্থাপিত পরিসংখ্যানে দেখা যায়, বর্তমানে বাংলাদেশে নবজাতক (১-২৮ দিন বয়স) মৃত্যুর হার প্রতি হাজারে ৩৭ জন।

এক বছরের কম বয়সী শিশুর মৃত্যু হার প্রতি হাজারে ৫১ জন এবং ৫ বছরের কম বয়সী শিশু মৃত্যু হার প্রতি হাজারে ৬৫ জন।

এ অবস্থায় ২০১৫ সালের মধ্যে সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্য নিশ্চিত করতে হলে মা ও শিশুর চিকিৎসা সংশ্লিষ্ট পেশাজীবী, সরকার, বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা এবং দাতা সংস্থাগুলোকে সম্মিলিতভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন অনুষ্ঠানে উপস্থিত বিশেষজ্ঞরা।

জাতীয় অধ্যাপক এম আর খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. ক্যাপ্টেন (অব.) মুজিবুর রহমান ফকির।

মজিবুর রহমান ফকির বলেন, দেশের প্রতিটি জেলা ও উপজেলা হাসপাতালে গাইনি ও শিশু বিশেষজ্ঞ নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। জেলা সদর হাসপাতালগুলোতে শিশু কর্নার ঘোষণার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন আছে।  

ইউনিসেফ আবাসিক প্রতিনিধি ক্যারল ডি রয় বলেন, নবজাতকের মৃত্যু হার এখনও বাংলাদেশের জন্য চ্যালেঞ্জ। বিশেষ করে জন্মের প্রথম সপ্তাহে।

তিনি বলেন, ২০১০ সালের বাংলাদেশে নীরব ঘাতক এইডস-এ আক্রান্ত হওয়া। আক্রান্ত প্রায় ৩৪ শতাংশ নারী।   সব মিলিয়ে প্রায় ৪০০ নারী এ রোগে আক্রান্ত। ফলে তা নবজাতকের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে।

এম আর খান বলেন, বেশির ভাগ মাতৃ ও শিশু মৃত্যু ঘটে সন্তান জন্মের প্রথম সপ্তাহে। কিন্তু প্রশিক্ষিত ধাত্রী এবং প্রসবোত্তর সেবা নিলে তা কমে যাবে।

সেমিনারে বিশেষ অতিথি ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক প্রাণ গোপাল দত্ত।

আরও উপস্থিত ছিলেন বিএসএমএমইউ উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মোহম্মদ শহীদুল্লাহ, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) আবাসিক প্রতিনিধি ডা. অরুণ ভদ্র থাবা, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব অধ্যাপক শারফুদ্দিন আহমেদ এবং বাংলাদেশ পেরিনেটাল সোসাইটির মহাসচিব অধ্যাপক লায়লা আরজুমান বানু।

বাংলাদেশ সময়: ১২৫৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৫, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad