ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

শান্তিনগরে ছাত্রদল নেতা গুলিবিদ্ধ, দোষীদের গ্রেপ্তার দাবি বিএনপির

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৫৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ৫, ২০১১

ঢাকা: রাজধানীর পল্টন থানাধীন শান্তিনগর এলাকায় মঙ্গলবার সকালে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন ঢাকা মহানগর (দক্ষিণ) ছাত্রদল সভাপতি হাবিবুর রশিদ (৩৫) ।

সকাল সাড়ে ১১টায় আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ(ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।



হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার সকাল ১১টার দিকে হাবিব শান্তিনগরের ইস্টার্ন প্লাস মার্কেটের পেছনের গলিতে মোটর সাইকেলে উঠছিলেন। এ সময় অজ্ঞাত অস্ত্রধারী এক যুবক তাকে লক্ষ্য করে গুলি করে পালিয়ে যায়।

বুকে, মাথায়, বাম পায়ে এবং বাম পাজরে গুলিবিদ্ধ হাবিবকে আশেপাশের লোকজন উদ্ধার করে ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি করেন।

তবে ঢামেকের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ড. রফিক জানান, আহত হাবিবুর রশিদ এখন শঙ্কামুক্ত।

এ ব্যাপারে পল্টন থানায় যোগাযোগ করা হলে জানা গেছে, এ ধরণের কোনো অভিযোগ থানায় আসেনি। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহীদুল হকের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার মোবাইল বন্ধ পাওয়া গেছে।

গুলিবিদ্ধ ছাত্রদল নেতা হাবিবুর রশীদের শ্যালক রায়হান বাংলানিউজকে জানান, হাবিবুর রশীদের স্ত্রীর নাম মাবিয়া আক্তার মায়া। হামজা রশীদ (৫) ও হিশাম রশীদ (১) নামে দুই পুত্র সন্তানের জনক তিনি। সকালে পুরানা পল্টনের হাউজ বিল্ডিংয়ের পেছনে অবস্থিত লিটল জুয়েলস স্কুলের কেজি ওয়ানের শিক্ষার্থী হামজাকে স্কুল থেকে বাসায় নেওয়ার উদ্দেশ্যে বাসা থেকে বের হন তিনি।

এদিকে দুপুর পৌনে একটায় বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গুলিবিদ্ধ ছাত্রদল নেতাকে দেখতে ঢাকা মেডিকেলে যান। সেখানে দশ মিনিট অবস্থানকালে তিনি তার চিকিৎসার খোঁজখবর নেন এবং সুস্থতা কামনা করেন।

দলের পক্ষ থেকে এ ঘটনার তীব্র নিন্দা এবং অবিলম্বে সংশ্লিষ্ট দোষী ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়ে উপস্থিত সাংবাদিকদের ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, হাবিবুরের অপারেশন চলছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাকে হত্যার উদ্দেশে গুলি করা হয়েছে।

বিএনপির কেন্দ্রীয় এ নেতা আরও বলেন, বাংলাদেশের মানুষের নিরাপত্তা নেই। এ সরকারের আমলে বিরোধীদলের নেতাকর্মীদের একের পর এক হত্যা করা হচ্ছে। ঘটনাটি বিএনপি পর্যবেক্ষণ করে দেখছে। পরবর্তীতে সংগঠনের সিদ্ধান্ত জানানো হবে।

এদিকে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) রমনা জোনের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কশিনার (এডিসি) নূরুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, ঘটনা তদন্তে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারি বাহিনী এরইমধ্যে মাঠে নেমেছে। এ মূহুর্তে গোয়েন্দারা দুই-তিনটি ক্লু নিয়ে কাজ করছে।

হাবিবুর রশীদের শরীরে পাঁচটি গুলিবিদ্ধ হয়েছে জানিয়ে এডিসি নূরুল ইসলাম আরও বলেন, ঘটনার সময় হাবিবুর রশীদ ছাড়া আশেপাশে কেউ ছিলো না। ফলে নির্দিষ্ট কোন ব্যক্তিকে এখন পর্যন্ত সন্দেহ করতে পারছেনা পুলিশ।

তবে হাবিবুর রশীদ স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা জাকারিয়ার ছোটভাই এ ঘটনা ঘটিয়ে থাকতে পারে বলে হাবিবুর রশীদের অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।    

বাংলাদেশ সময় ১৬৫০ঘণ্টা, এপ্রিল ০৫, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।