ঢাকা: আফ্রিকার দেশ কঙ্গোর রাজধানী কিনসাসায় জাতিসংঘের একটি বিমান বিধ্বস্ত হয়ে দুই বাংলাদেশিসহ অন্তত ২৬ জন মারা যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ছোট ওই বিমানটিতে জাতিসংঘের কর্মকর্তা ছাড়াও শান্তিরক্ষা মিশনের সৈন্যরা ছিলেন।
নিহত দুই বাংলাদেশি হলেন সেনাবাহিনীর মেজর কে এম জিয়াউল হক ও কর্পোরাল ইউনূস মিয়া।
জাতিসংঘ শান্তিবাহিনীর বরাত দিয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি সূত্র সোমবার রাতে এ তথ্য জানায়।
ওই ঘটনায় নিহতের সংখ্যা নিয়ে নানা ধরনের তথ্য পাওয়া যাচ্ছে।
তবে জাতিসংঘের মুখপাত্র মার্টিন নেসিরকি সোমবার রাতে সংবাদ মাধ্যমকে জানান, বিমানটিতে ২৯ জন যাত্রী ও ৩ জন ক্রু ছিল।
তিনি বলেন, ‘বিমানটির যাত্রী ও ক্রুদের মধ্যে কারা মারা গেছেন তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ’
কঙ্গোর কিনসাংগানি শহর থেকে বিমানটি কিনসাসার ডিজিলি বিমানবন্দরে অবতরণের সময় দুর্ঘটনায় পড়ে।
জাতিসংঘের মুখপাত্র বলেন, ‘দুর্ঘটনার কথা জাতিসংঘ এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে জানেনা। ’
গৃহযুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশটিতে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা বাহিনী সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা রক্ষায় কাজ করে যাচ্ছে। বিমান দুর্ঘটনার ঘটনার আগে দেশটিতে শান্তিরক্ষা বাহিনীর ৮ সৈন্য মারা গেছেন।
জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের ২০১০ সালের ২৮ মে গৃহীত ১৯২৫ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কঙ্গোতে জাতিসংঘ বাহিনী নিয়োজিত করা হয়।
সর্বশেষ ২৮ ফেব্র“য়ারির তথ্য অনুযায়ী, কঙ্গোতে ১৯ হাজার ১৩৬ জন শান্তিরক্ষী কর্মরত আছেন। এদের মধ্যে ১৭ হাজার ১২৯ জন সেনা কর্মকর্তা-সৈনিক, ৭৩৭ জন সেনা পর্যবেক্ষক, ১ হাজার ২৭০ জন পুলিশ, ৯৬৪ জন বিদেশি অসামরিক কর্মী, ২ হাজার ৮০৫ জন স্থানীয় কর্মী এবং ৫৬৩ জন স্বেচ্ছাসেবক জাতিসংঘের হয়ে কাজ করছেন।
কঙ্গোর জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের নাম হলো ইউনাইটেড ন্যাশনস অর্গানাইজেশন স্টাবিলাইজেশন মিশন ইন দ্যা ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব দ্যা কঙ্গো (এমওএনইউএসসিও)।
বাংলাদেশ, পাকিস্তান, ভারত, নেপালসহ ৫২ দেশের সেনা সদস্য ওই মিশনে রয়েছেন। বাংলাদেশের কয়েকজন পুলিশও ওই মিশনটিতে রয়েছেন।
কঙ্গোর শান্তিরক্ষা মিশনটি পরিচালনায় গত জুলাই থেকে আগামী জুন পর্যন্ত খরচ ধরা হয়েছে ১৩৬ কোটি ৯০ লাখ ইউএস ডলার।
বাংলাদেশ সময়: ২৩৪০ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৪, ২০১১