ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

বাগেরহাটে নির্বাচনী সহিংসতায় আহত অর্ধশতাধিক

জেলা প্রতিনিধি | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৩৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ১, ২০১১

বাগেরহাট : বাগেরহাটের বিভিন্ন স্থানে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনী সহিংসতায় চেয়ারম্যান ও সদস্য প্রার্থীসহ অর্ধশতাধিক আহত হয়েছেন। শুক্রবার এসব সহিংস ঘটনা ঘটে।



আহতরা হলেন- বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান প্রার্থী হুমায়ুন কবির, খেলাফত শেখ (৪০), মশিউর রহমান মৃধা (৪২), মোড়েলগঞ্জে খাউলিয়া ইউনিয়নের পশুরবুনিয়া গ্রামের মোশারেফ হোসেন, রফিকুল ইসলাম, রুস্তুম আলী ও সদরের বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের সদস্য প্রার্থী মুজিবুর রহমানসহ ১০ জনকে আশংকাজনক অবস্থায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যদের বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে।

এদিকে বাগেরহাট জেলা বিএনপির পক্ষ থেকে শনিবার বাগেরহাট সদর ও কচুয়া উপজেলার ১৭টি ইউনিয়নের ভোট কেন্দ্রে সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে কঠোর নিরাপত্তার দাবি জানানো হয়েছে।

জেলা বিএনপির পক্ষ থেকে এক সাংবাদিক সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।

সম্মেলনে বলা হয়, বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের সমর্থিত প্রার্থী তকদীর মীরের সমর্থকরা শুক্রবার ভোরে বিএনপি সমর্থিত হুমায়ুন কবীর ও তার লোকজনের ওপর চড়াও হয়। এ সময়ে হুমায়ুন কবীর কচুয়া থানা পুলিশকে বিষয়টি জানালে পুলিশের এসআই সোহরাব হোসেন ঘটনাস্থলে এসে উল্টো তকদির মীরের সহায়তায় তাকে ও তার সমর্থকদের ওপর মারপিট শুরু করেন। এ সময় মাসুম, নাজমুল করীম, খেলাফত হোসেন, শেখ আলম, শেখ লিটন, শেখ মধু, শেখ ফরিদ, মসিউর রহমান মৃধা ও মঈনুলসহ ৩০ জন আহত হন।

পুলিশের পক্ষপাতমূলক আচরণের নিন্দা জানিয়ে হামলাকারীদের আটকের দাবি জানানো হয়। এমনকি ওই তকদির মীরের লোকজন হুমায়ুন কবীর সমর্থকদের হত্যার হুমকিসহ আচরণবিধি লংঘন করলেও প্রশাসন নীরব রয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়।

হুমায়ুন কবীরের পক্ষে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আলী রেজা বাবু।

সংবাদ সম্মেলনে সদর উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থী হাওলাদার আব্দুল আজিজ সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে  নির্বাচনী এলাকায় বিষ্ণুপুরে তার সমর্থকদের ওপর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রাথী আফজাল হোসেন ক্ষমতাসীন দলের প্রভাবে লোকজন নিয়ে হামলা করে। এই হামলায় স্থানীয় মান্দ্রা বাদোখালী ইউপি সদস্য প্রার্থী মুজিবুর রহমানসহ ১২ জন আহত হয়। ’

তিনি আরও বলেন, ‘নিরাপত্তার স্বার্থে মনোনয়নপত্র দাখিল করার পর থেকে নির্বাচনী এলাকায় দোয়া চাইতে পর্যন্ত যেতে পারিনি। ‘
 
অপরদিকে, ফকিরহাট উপজেলার নলধা-মৌভোগ এলাকার সাবেক ইউপি সদস্য লাচ্চু সরদারের বাড়ি ভাংচুর করা হয়েছে।

লাচ্চু সরদার জানান, স্থানীয় ক্ষমতাসীন দলের ক্যাডার আলমের নেতৃত্বে ২৫/৩০ জনের একটি দল তার বাড়িতে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে।

এছাড়া মোড়েলগঞ্জ উপজেলার খাউলিয়া ইউনিয়নে পশুর বুনিয়া গ্রামে চেয়ারম্যান প্রার্থী আবুল খায়ের ও আব্দুল হাইয়ের সমর্থকদের সংঘর্ষে ১০ জন আহত হয়েছে।
 
এ ব্যাপারে বাগেরহাটের পুলিশ সুপার খোন্দকার রফিকুল ইসলাম জানান, সহিংসতার এলাকায় সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তবে চেয়ারম্যান প্রার্থী হুমায়ুন কবিরের ওপর পুলিশের হামলার বিষয়টি তিনি জানেন না। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

বালাদেশ সময় : ১৮০০ ঘণ্টা, এপ্রিল ০১, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।