ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

৬ ডিসেম্বর শ্রীমঙ্গল ও কুলাউড়া মুক্ত দিবস

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯২০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৬, ২০১৪
৬ ডিসেম্বর শ্রীমঙ্গল ও কুলাউড়া মুক্ত দিবস ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

মৌলভীবাজার: শনিবার (০৬ ডিসেম্বর) মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল ও কুলাউড়া মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এ দিনে শ্রীমঙ্গল ও কুলাউড়া উপজেলা শত্রুমুক্ত হয়।


 
দীর্ঘ ৯ মাস যুদ্ধ শেষে ৬ ডিসেম্বর মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল ও কুলাউড়া উপজেলা শহরে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উড়িয়ে বিজয়ের উল্লাসে মেতে ওঠেন মুক্তিযোদ্ধারা। সে দিন পাকিস্তানি হানাদার মুক্ত হয় এ দুই উপজেলা।
 
বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণের পর তত্কালীন সংসদ সদস্য আলতাফুর রহমান, কমান্ডার মানিক চৌধুরী ও ফরিদ আহম্মদ চৌধুরীর নেতৃত্বে শ্রীমঙ্গলে গঠিত হয় মুক্তিবাহিনী। ২৩ মার্চ শ্রীমঙ্গল পৌরসভার সামনে পাকিস্তানের পতাকা নামিয়ে স্বাধীন বাংলার পতাকা উত্তোলন করেন তত্কালীন ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের নেতারা।
 
স্বাধীনতা যুদ্ধে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে সেদিন মুক্তিবাহিনীতে যোগ দিয়েছিলেন এ অঞ্চলের নিরীহ চা-শ্রমিকরা। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন এক পর্যায়ে ৩০ এপ্রিল হানাদার বাহিনী নির্মমভাবে গণহত্যা চালায় তাদের ওপর।
 
যুদ্ধের বাংকার বানানোর কথা বলে শহর সংলগ্ন ভাড়াউড়া চা বাগানে প্রবেশ করে সেখানে এক সঙ্গে ৫৫ জন চা-শ্রমিককে সারিবদ্ধভাবে দাঁড় করে তাদের ওপর গুলি চালায় পাকিস্তানি বাহিনী।
 
শ্রীমঙ্গল উপজেলার পাঁচটি বধ্যভূমির মধ্যে অন্যতম এই ভাড়াউড়া বধ্যভূমিতে ১৯৯৭ সালে একটি স্মৃতিস্তম্ভ গড়ে তোলা হলেও তা পূর্ণাঙ্গ রূপ পায়নি আজও।  
 
কুলাউড়া উপজেলায় মুক্তি যোদ্ধাদের সংগঠিত করতে সে সময় ব্যারিস্টার আব্দুল মুক্তাকিম চৌধুরী, নবাব আলী সবদর খান রাজা, নবাব আলী সরওয়ার খান চুন্ন, আব্দুল লতিফ খান, গিয়াস উদ্দিন আহমদ প্রমুখ উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেন।
 
বাংলাদেশ সময়: ০৯২০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৬, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad