ঢাকা, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

ক্রিট সাগরে ডুবে যাওয়া ৯ জনের লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২৮ ঘণ্টা, মার্চ ২৯, ২০১১

ঢাকা: লিবিয়া থেকে গ্রিসের ক্রিট দ্বীপে নিয়ে যাওয়ার পথে সাগরে লাফিয়ে পড়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় মারা যাওয়া ৯ জনের লাশ মঙ্গলবার আত্মীয়-স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

রাজধানীর স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ হাসাপাতাল থেকে জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) তত্ত্বাবধানে এসব লাশ হস্তান্তর করা হয়।



তবে শনাক্ত করা সম্ভব না হওয়ায় অপর এক লাশ হস্তান্তর করা যায়নি।    

মিটফোর্ড হাসপাতাল মর্গ থেকে মঙ্গলবার  যে ৯ জনের লাশ হস্তান্তর করা হয় তারা হলেন- ঢাকার সাভারের আব্দুল আজীজের ছেলে মো. শফিউল আজম (৪০), টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার জীবন সূত্রধরের ছেলে রঞ্জিত সূত্রধর (২৫), নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের আলিমুদ্দিনের ছেলে ফরিদ হোসেন (২৫), লক্ষ্মীপুরের রায়পুরের আব্দুর রহমানের ছেলে বিল্লাল হোসেন (২৭), মাদারীপুরের রাজৈরের ইউনূস মাতবরের ছেলে সম্রাট (২২), শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জের ফনু শেখের ছেলে আরিফ হোসেন (২২), নরসিংদীর পলাশ উপজেলার মফিজউদ্দিনের ছেলে রুহুল আমীন (২৬), কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরের শ্যামপদ পালের ছেলে ভীম কুমার পাল (২৫) ও নোয়াখালীর চাটখিলের হেদায়েতুল্লাহর ছেলে রুবেল (২২)।

বিএমইটির অতিরিক্ত মহাপরিচালক হযরত আলী মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বাংলানিউজকে জানান, সরকারের পক্ষ থেকে নিহতদের স্বজনদের প্রতিজনকে ৩৫ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়। সেইসঙ্গে লাশ পরিবহনের জন্য অ্যাম্বুলেন্সেরও ব্যবস্থা করা হয়।

তিনি জানান, জাহিদ হাসান নামে একজনের লাশ স্বজনরা শনাক্ত করতে পারেননি।

ডিএনএসহ অন্য যেকোনো পরীক্ষার মাধ্যমে ওই লাশ শনাক্ত করা হতে পারে বলেও  জানান তিনি।

লাশের বর্ণনার সঙ্গে জাহিদ হাসানের মিল নেই বলে নিহতের বাবা দাবি করেছেন বলে বাংলানিউজকে জানান হযরত আলী।

প্রসঙ্গত, লিবিয়া থেকে গত ৫ মার্চ দাইয়ু কোম্পানি প্রায় ১৩শ’ বাংলাদেশিকে জাহাজে করে গ্রিসের ক্রিটে নিয়ে যায়।

ক্রিটের বন্দরে নোঙর করা অবস্থায় ৪৮ জন বাংলাদেশি গ্রিসের মূল ভূখণ্ডে পালিয়ে যাওয়ার জন্য সাগরে লাফিয়ে পড়ে। এদের এর মধ্যে ১৩ জনের মৃত্যু হয়। একজন এখনো নিখোঁজ রয়েছেন।

কয়েকদিন আগে এদের ৩ জনের লাশ দেশে আসে।

বাংলাদেশ সময়: ২০২১ ঘণ্টা, মার্চ ২৯, ২০১১ 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।