ঢাকা, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

নানা আয়োজনে ঢাবিতে স্বাধীনতা দিবস উদযাপন

ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৪১৮ ঘণ্টা, মার্চ ২৭, ২০১১

ঢাবি: নানা আয়োজনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে(ঢাবি) মহান স্বাধীনতা ও বিজয় দিবস উদযাপন করা হয়েছে। সকাল ছয়টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়।

সকাল ৭ টায় প্রতিটি হল ও বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে শিক্ষক-শিক্ষার্থী আর কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে যান।   সেখানে স্মৃতিসৌধের বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি বিনর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তারা।

যোহরের নামাজের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে মুক্তিযুদ্ধের অগণিত শহীদদের স্মরণে অনুষ্ঠিত হয় বিশেষ মোনাজাত ।

দিবসটি পালন উপলক্ষে সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি অডিটোরিয়ামে বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগ ‘মুক্তিযুদ্ধ ও রবীন্দ্রসঙ্গীত’ শীর্ষক আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

এতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সমৃদ্ধ, অর্থনীতিতে স্বাবলম্বী বাংলাদেশ গড়ার কাজ করে যেতে হবে। ”

তিনি বলেন, রবীন্দ্রনাথের দেশাত্ববোধের চেতনা সমৃদ্ধ লেখালেখির কারণে তার লেখাকে পাকিস্তান আমলে বিভিন্ন সময় নিষিদ্ধ করার চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু পাকিস্তানিরা মানুষের মন থেকে এগুলোকে মুছে দিতে সক্ষম হয়নি।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ঢাবি কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক সদরুল আমিন বলেন, “পাকিস্তানীরা রবীন্দ্রনাথকে নিষিদ্ধ করেছিল। কিন্তু তার লেখালেখিকে ম্লান করে দেওয়া কোনোভাবেই সমর্থ হয়নি তারা। ”

সংগীত বিভাগের চেয়ারপার্সন অধ্যাপক কুহেলী ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সংগীতশিল্পী ও গবেষক ড. সাইম রানা। এসময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিভাগের অধ্যাপক মৃদুল কান্তি চক্রবর্তী ও অনুষ্ঠানের আহবায়ক শাহনাজ নাসরীন ইলা।

পরে সঙ্গীতানুষ্ঠানে বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা ও দেশবরেণ্য শিল্পীরা সঙ্গীত পরিবেশন করেন।

এদিকে দিবসটি উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের জহুরুল হক হলে শহীদ ছাত্র ও কর্মচারীদের স্মরণে ৩দিন ব্যাপী আলোক চিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে।   এতে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত অনেক আলোকচিত্র স্থান পেয়েছে।

দুপুর ১২টায় জহুরুল হক হলের পত্রিকা কক্ষে প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক আবু মোহাম্মাদ দেলোয়ার হোসেন।

এসময় তিনি বলেন, “একাত্তরে ২৫ মার্চ বর্তমান জহুরুল হক হল তৎকালীন ইকবাল হলে থেকেই শুরু হয় পাকিস্তানী বাহিনীর হত্যাযজ্ঞ। আজকের এ প্রদর্শনীর মাধ্যমে বর্তমান সময়ের ছাত্ররা মুক্তিযুদ্ধের সচিত্র ইতিহাস জানতে সক্ষম হবে। ”

বাংলাদেশ সময়: ০৪১০ঘণ্টা, মার্চ ২৭, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।