ঢাকা, বুধবার, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ মে ২০২৪, ২৮ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

সরকারের উন্নয়ন কাজের সুফল ৫বছরের মধ্যেই: বাণিজ্যমন্ত্রী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯০১ ঘণ্টা, মার্চ ২৪, ২০১১

ঢাকা: বাণিজ্যমন্ত্রী ফারুক খান বলেছেন, বর্তমান সরকারের ২ বছর ৩ মাসে যে উন্নয়ন কাজ শুরু হয়েছে তাতে ৫ বছরের মধ্যেই দেশবাসী এর সুফল পেতে শুরু করবেন। দেশের উন্নয়ন কাজের যে গতি, তাতে প্রকৌশলীদের দায়িত্ব আরো বেড়ে গেছে।

বর্তমানে প্রতি সপ্তাহে দেশে হাজার হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন পরিকল্পনা পাশ হচ্ছে। এতে উন্নয়ন কাজ সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করাও কঠিন হয়ে পড়েছে।

বৃহস্পতিবার বিকালে রাজধানীর শেরাটন হোটেলে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কন্সট্রাকশন ইন্ডাস্ট্রি (বিএসিআই) আয়োজিত ‘বিএসিআই কন্সট্রাকশন এক্সিবিশন-২০১১’ উদ্বোধনকালে তিনি এ কথা বলেন।

বানিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘পদ্মা সেতুর কাজ শুরু হচ্ছে। আরিচায় ২য় পদ্মা সেতুর কথা ভাবা হচ্ছে। ঢাকায় মনোরেল, সাবওয়ের কথা ভাবা হচেছ। কয়েকটি ফ্লাইওভারের কাজ চলছে। আরো ফ্লাইওভার, আন্ডারপাস, এলিভেটেডে এক্সপ্রেস তৈরির প্রক্রিয়া চলছে। এ বিশাল কর্মযজ্ঞে দেশের প্রকৌশলী এবং নির্মাণ প্রতিষ্ঠানকে প্রযুক্তিগত ভাবে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে হবে। ’

ফারুক খান বলেন, ‘জাপানের ভূমিকম্প ও সুনামির ফলাফল থেকে শিক্ষা নিয়ে আমাদের উপকূলীয় এলাকায় (কক্সবাজার ও কুয়াকাটায়) যে উন্নয়ন কাজ চলছে তাতে সাবধানতা গ্রহণ করতে হবে। এ জন্য এসব কাজে উন্নত প্রযুক্তি ও ত্রুটিমুক্ত নির্মাণ শৈলী ব্যবহারের বিকল্প নেই। ’

তিনি জানান, এ বছর কুয়েত সরকার সে দেশে ২২ বিলিয়ন ডলারের উন্নয়ন কর্মসূিচ হাতে নিয়েছে বলে বাংলাদেশ সরকারকে জানিয়েছে। এ ক্ষেত্রে নির্মাণ ব্যবসায়ীরা অংশ নিতে পারে। এ ক্ষেত্রে সরকার সব ধরনের ব্যবস্থা নেবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

তিনি বলেন, বর্তমানে বিশ্ব ব্যাংক, আইএমএফসহ অনেক প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশকে পরবর্তী অর্থ শক্তি হিসেবে আখ্যায়িত করছে। এর প্রকৃত বাস্তবায়নের জন্য বিশ্বব্যাপী উন্নয়ন কাজে অংশ নিয়ে বিএসিআই
গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।

দেশের ক্রমবর্ধমান উন্নয়ন প্রতিকূলতা সম্পর্কে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, এক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় সমস্যা জমি। এ নিয়েই নানা জায়গায় ঝামেলা হচ্ছে। দেশের কৃষি জমি যাতে উন্নয়ন কাজে নষ্ট না হয়, সে দিকে নজর রাখার জন্য তিনি প্রকৌশলীদের অনুরোধ করেন।

তিনি বলেন, ‘আমাদের জিনগত সিস্টেমে বুদ্ধিমত্তা থাকায় কেউ আমাদের অগ্রগতি থামাতে পারবে না। ’

অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি এফবিসিসিআই সভাপতি এ, কে আজাদ বলেন, ‘নির্মাণ শিল্প দেশের জিডিপির ৯ শতাংশ পূরণ করে। যেখানে দেশের মোট জিডিপিতে সকল শিল্পেরই অবদান মোট ৩০ শতাংশ। ’

তিনি বলেন, ‘এ খাতে আমরা প্রযুক্তিগতভাবে পিছিয়ে আছি। দেশের উন্নয়নে ও বেকার সমস্যা সমাধানে হাজার হাজার বেকার সিভিল ও ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের কর্মসংস্থানের জন্য নির্মাণ শিল্পে প্রযুক্তিগত উন্নয়নের বিকল্প নেই। ’

এফবিসিসিআই সভাপতি জানান, বর্তমানে দেশে সরকারি ভাবে ৩ কোটি বেকার রয়েছে এবং প্রতিবছর এর সঙ্গে যোগ হচ্ছে আরো ২০ লাখ। এ বিপুল জনসংখ্যাকে নির্মাণকাজে দক্ষ করে জনশক্তিতে রূপান্তরিত করা যায়।

অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন বিএসিআই সভাপতি প্রকৌশলী শফিকুল আলম ভূইয়া, এক্সিবিশন সাব কমিটির আহবায়ক রফিকুল ইসলাম।

এরপর বানিজ্যমন্ত্রী  ‘বিএসিআই কন্সট্রাকশন এক্সিবিশন-২০১১’-এর  আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।

শেরাটনের উইন্টার গার্ডেনে শুরু হওয়া এ মেলা ২৬ মার্চ পর্যন্ত চলবে।   এতে ৩৩টি স্টলে ২৩টি প্রতিষ্ঠান অংশ নিচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯০০ঘণ্টা, মার্চ ২৪,২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয় এর সর্বশেষ