ঢাকা: জাতীয় সংসদের সদস্যদের দায়িত্ব-কর্তব্যবোধ ও সামগ্রিক আচরণ নিয়ন্ত্রণের জন্য দুটি সংশোধনী এনে ‘সংসদ সদস্য আচরণ আইন-২০১১’ বিলের প্রথম প্রতিবেদন বৃহস্পতিবার সংসদে উপস্থাপন করা হয়েছে।
সংসদ অধিবেশনের বেসরকারি সদস্যদের বিল এবং বেসরকারি সদস্যদের সিদ্ধান্ত প্রস্তাব সম্পর্কিত কমিটির সভাপতি আব্দুল মতিন খসরু সংসদে এ প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন।
নিজেদের দায়িত্ব ও কর্তব্যের প্রতি অবিচল থেকে সংসদ সদস্যদের সামগ্রিক কর্মকাণ্ড ও আচরণে অনুকরণীয় ও অনুসরণীয় চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের প্রতিফলন ঘটাতে সংসদ সদস্য আচরণ আইন করতে এ বিল আনা হয়েছে।
বিলটি পাশ হলে, সংসদ সদস্যরা ১০ হাজার টাকার মূল্যমানের বেশি কোনো সেবা নিতে পারবেন না। এর বেশি নিলে নৈতিকতা কমিটিকে অবহিত করতে হবে। প্রযোজ্য ক্ষেত্রে সরকারি কোষাগারে জমা দিতে হবে।
এর আগে গত বছরের ১৪ জানুয়ারি সংসদে বিলটি উত্থাপন করেন সাবের হোসেন চৌধুরী। ওই বিল উত্থাপনের সময় এ টাকার পরিমাণ ছিল পাঁচ হাজার। পরে কমিটি তা বাড়িয়ে ১০ হাজার করে।
বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্বলিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সংসদ সদস্যদের দায়িত্ব এবং কর্তব্যবোধ ও সামগ্রিক আচরণ একটি দেশের জন্য অত্যন্ত সংবেদনশীল বিষয়। একটি দেশের কোনো সংসদ সদস্যের দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণের প্রতিফল ভোগ করতে হয় দেশের জনগণকে। এর ফলে সৃষ্টি হয় নানাবিধ জটিলতা, রাষ্ট্রীয় ও জাতীয় জীবনে দেখা দেয় অস্থিরতা। এ ধরনের আচরণের ফলে অনেক ক্ষেত্রে দেশের স্বাধীনতা, অখণ্ডতা ও সার্বভৌমত্ব বিপন্ন হওয়ার আশঙ্কাও থাকে।
তবে কমিটির সদস্য মুহিবুর রহমান মানিক, ইকবালুর রহিম, আশিফা আশরাফি পাপিয়া সংসদ সদস্যদের জন্য কার্যপ্রণালি বিধির আইনের প্রয়োজন নেই বলে অভিমত জানান।
অপরদিকে কমিটির সদস্য আ স ম ফিরোজ রাজনৈতিক দলের প্রধানদের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে এবং এ বিষয়ে সকলে একমত হলে সংসদ সদস্য আচরণ সংক্রান্ত বিল পাসের সুপারিশ করার অভিমত জানান।
এছাড়া কমিটির সদস্য আবদুল হাই, জুনাইদ আহমেদ পলক ও হাফিজ আহমেদ মজুমদার বিলের পে মতামত দেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৩ ঘণ্টা, মার্চ ২৪, ২০১১